সুপ্রভাত ডেস্ক »
‘বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু কে?’ এই প্রশ্ন রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে ‘খোঁচা’ দিয়েছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বুধবার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ চীন ও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিত করে কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নামোল্লেখ না করেই ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করা একটি দেশ একতরফাভাবে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করছে। খবর বিডিনিউজ।
‘প্রয়োজনের সময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু’, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “একটি বিদেশি রাষ্ট্র দাবি করে তারা বাংলাদেশের বন্ধু এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে যাচ্ছে।
একই সময়ে তারা বাংরাদেশের জনগণের উপর একতরফা ভিসা বিধিনিষেধ এবং এমনকি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিষয়টি তুমুল আলোচনা তৈরি করেছে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটির ভিসানীতি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে।
জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারাই বাধা হবে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেবে না দেশটি। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে এই নীতির প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি আরও নানা পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের এসব তৎপরতাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসাবে দেখছে চীন ও রাশিয়া।
চীন কখনো অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না দাবি করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, “বরং আমরা চাই বাংলাদেশ অধিকতর অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করুক এবং স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নতি করুক।”
‘বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু কে? তা জনগণই বলবে’, বলেন তিনি।
এর আগে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের হাতে সাতশ সেট ডেঙ্গু কিট তুলে দেন রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এসব কিটের মাধ্যমে ১৮ হাজার মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। এটা চীন থেকে আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট আগমনের ‘সূচনামাত্র’।