নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বাঁশখালীর উপকূলীয় ইউনিয়নের সুরক্ষিত বেড়িবাঁধ উপচে লোনা পানি ঢুকেছে। কিছু কিছু এলাকায় লোনা পানি ভাটার টানে নেমে গেলেও লোকালয়ে আটকে থাকা পানি নামেনি।
বেড়িবাঁধ উপচে ও ছিঁড়ে পানি ঢোকা স্থানগুলো হচ্ছে খানখানাবাদ ইউনিয়নের খানখানাবাদে, ঈশ্বরবাবুর হাটে, শেখেরখীলে, ছনুয়া, পশ্চিম চাম্বলে, পুকুরিয়া, পুঁইছড়ি, শীলকূপ এলাকায়। তবে পশ্চিম চাম্বলের বাংলাবাজার এলাকায় জ্বলকদর খালের ৮০ ফুট এলাকার বেড়িবাঁধ ছিঁড়ে লোকালয়ে জোয়ার-ভাটার টানে ঢুকছে আর বের হচ্ছে।
পুরো বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে লোনা পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছ, ঘোনার মাছ, লবণ চাষের জন্য প্রস্তুত মাঠ ভেসে গেছে। সিত্রাং আঘাত করার সময় বিভিন্ন স্থানের উপকূলীয় কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও সকালে সবাই বাড়ি ফিরেছে।
সিপিপি’র ১৪২০ জন নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী এখনো উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। গত সোমবার রাতভর বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তি উপকূলে ছিলেন। খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম হায়দার বলেন, বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হয়েছে। চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, চাম্বল বাংলাবাজারে ৮০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।