নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
বাঁশখালীতে ১৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে লোকালয় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কমপক্ষে ৫ হাজারের অধিক পরিবারের বসতভিটা ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমড় পানিতে ডুবে আছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে অনেক গ্রামে রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সাধনপুরের মাস্টার পাড়ায় কাঁচা ঘর ভেঙে ভূপতি দে (৪৭) ও জয়শ্রী দে (৩৮) নামের ২ জন আহত হয়েছে। কালীপুর ইউনিয়নের জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসার শ্রেণিকক্ষে পাহাড়ি ঢল ঢুকে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে অন্তত ২৬টি পুকুরের কয়েক লাখ টাকার মাছ।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, উপজেলা সদরের বাঁশখালী পৌরসভার ৪,৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে রাস্তাঘাটের অস্তিত্ব নেই। বসতভিটায় হাঁটু থেকে কোমড় পর্যন্ত পানি জমে থাকায় অনেক পরিবারে রান্না-বান্নার কাজ সারতে পারছেন না। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুঁইছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ, বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর ও পুকুরিয়া ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রাম। এসব এলাকায় ক্ষতি বর্ণনা করার মতো নয়। ক্ষেত-খামার, পুকুর, বসতভিটা পাহাড়ি ঢলে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। রাস্তাঘাটে পাহাড়ি ঢলের ভয়ংকর প্লাবনে মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে।
বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প অফিসের সহকারী কর্মকর্তা প্রকৌশলী লিপ্টন ওম বলেন, বাঁশখালীর সর্বত্র পাহাড়ি ঢলের তান্ডবের খবর পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন সচিবদের ক্ষতির তালিকা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।