কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে প্রস্তুতি সভায় মেয়র
‘আসন্ন কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চসিক বিগত বছরগুলোর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈদের দিন বিকেল ৪টার মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা জানান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, শাহেদ ইকবাল বাবু, এসরারুল হক, সচিব খালেদ মাহমুদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা প্রমুখ।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ বর্জ্য অপসারণে তাদের মতামত, লোকবল ও গাড়ির চাহিদা ও পরিকল্পনার কথা সভায় তুলে ধরেন। ৪১টি ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজাররা বর্জ্য অপসারণে তাদের কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ওয়াকিটকি, গাড়ি, টমটম গাড়ি, বেলছা, ঝাড়ু, হুইল ব্যারো চাহিদার কথা উল্লেখ করে তা সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।
মেয়র আরো জানান, সিটি করপোরেশন ৬টি জোনে বিভক্ত হয়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করবে। আর এ কাজের জন্য করপোরেশন ৫ হাজার শ্রমিক, ৩৪৫টি গাড়ি, পশু জবাইকৃত স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করেছে। এবং সরু রাস্তা ও গলি থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টমটম, হুইল ভেরু ও বর্জ্য অপসারণ কাজ তদারকিতে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজারদের জন্য সিএনজি চালিত ট্যাক্সির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে ইমাম সাহেবের মাধ্যমে প্রচার, হ্যান্ড বিল ও লিফলেট বিলি ও কোরবানির পশুর বর্জ্য নালা-নর্দমাসহ যত্রতত্র না ফেলার জন্য চসিক কর্তৃক কোরবানি দাতাদের পলিব্যাগ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে কোন ওয়ার্ডে কতো ট্রিপ গাড়ি দেওয়া প্রয়োজন তাও দেয়া হবে জানান। এ জন্য দামপাড়াস্থ চসিক কার্যালয়ে ১টি কন্ট্রোলরুম খোলাসহ চসিকের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা ও পরিবহন পুলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে মেয়র কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে নগরবাসী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাফল্য ধরে রাখতে পারলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের দায়িত্বরত শ্রমিক-সেবকদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান এবং করপোরেশনের পক্ষে ঈদের দিন দুপুরে কর্মরত পরিচ্ছন্ন শ্রমিক-সেবকদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, চসিক বর্তমান চাহিদানুযায়ী ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। তিনি কোরবানিকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য সকলকে প্রয়োজনীয় লবণ সংগ্রহের আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি