বরিশালের কাছে পরাস্ত চট্টগ্রাম

চেনা ছন্দে তামিম

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

তামিম ইকবালের ঝড়ো ৯১ রানে বিশাল ইনিংস গড়েও বরিশালকে হারাতে পারেনি চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রামের করা ১৮২ রানের জবাবে জয়ের শেষ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ২৭ রান। সালমান হোসেন ক্রিজে। বরিশালের টিম ম্যানেজমেন্টও হয়ত ভাবতে পারেনি এখান থেকে ম্যাচ বের করে আনা সম্ভব ২২ বলে ২৬ রান করা সালমান হোসেনের জন্য। কিন্তু বরিশালের উইকেটরক্ষক ব্যাটার খেললেন মনে রাখার মতো এক ওভার। শেষ ওভারে দুই ডট বলের পরেও তুললেন ২৭ রান। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে চট্টগ্রামকে দারুণ এক ম্যাচে ৫ উইকেটে হারাল বরিশাল। এদিকে দীর্ঘ সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে চেনা ছন্দে দেখা মিলছে তামিম ইকবালের। গতকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় বাউন্ডারির ডানা মেলে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান। সুযোগ ছিল সেঞ্চুরিরও। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ দাপটের সঙ্গেই। কিন্তু তরুণ পেসার মেহেদী হাসানের দারুণ ইনসুইং ইয়র্কার ডেলিভারীতে পরাস্ত হতে হয় তাকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিম ৯১ রানে ব্যাটিং করছিলেন। উইকেট থেকে খানিকটা সরে অফ স্টাম্প আগলে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেহেদীর বোলিংয়ের উত্তর দিতে পারেননি। ৫৪ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় শেষ হয় তার ৯১ রানের ইনিংসটি। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। প্রথম ম্যাচে রংপুরের বিরুদ্ধে ১৩ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের সাথে ৬৫ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান। শনিবার তৃতীয় রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের বিরুদ্ধে খেলেন অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস। গতকাল তার ব্যাট থেকে এলো ঝকঝকে ৯১ রান। ৩৭ বলে ফিফটিতে পৌঁছানোর পর আগ্রাসন বাড়ান তামিম। মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটা হয়েই যাবে। সোহাগ গাজী ও কামরুল ইসলাম রাব্বীকে যেভাবে লং অফ ও লং অন দিয়ে দৃষ্টিসীমানার বাইরে পাঠান তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। ১৬৮.৫২ স্ট্রাইক রেটে খেলা ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে রূপ পেলে পূর্ণতা পেত। কিন্তু নার্ভাস নাইন্টিজে আটকে হাতছাড়া করলেন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সুযোগ।