শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় সর্বাগ্রে ছিল শিক্ষা। এ কারণেই তিনি পঞ্চাশের দশকে ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য আন্দোলন করে কারাবরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ চেতনাকে ধারণ করে সকলকে শিক্ষা অর্জনে ব্রতী হতে হবে। সকলকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের আওতায় অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্ত্তী। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী অপু কুমার বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে তোমরা জেলা পরিষদের শিক্ষা বৃত্তি পেয়ে দেশের কাছে ঋণী হয়ে গেলে। এখন তোমাদের সুশিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি জেলা পরিষদকে এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। শিক্ষা একান্ত নিজস্ব। শিক্ষার অংশীদার নাই, উত্তরাধিকার নাই। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উৎসাহীকরণে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি মেধাবী, গরিব ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে জেলা পরিষদের এ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান।
সভার শুরুতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। জেলা পরিষদ সৃষ্টির ইতিহাসসহ শিক্ষা খাতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অবদান তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য কাজী আবদুল ওহাব, শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, জাফর আহমেদ, শওকত আলম শওকত, আ ম ম দিলসাদ, মোহাম্মদ ইউনুছ, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ, রেহানা বেগম (ফেরদৌস) চৌধুরী, অ্যাডভোকেট উম্মে হাবিবা, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রতি অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের একটি অংশ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা প্রদান করে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ^বিদ্যালয়ের ৩২৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কলেজ পর্যায়ে প্রতি জনে ৮,০০০ টাকা এবং বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতি জনে ১০০০০ টাকা হারে সর্বমোট ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি