নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম এম এ আজিজ পস্টডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩। শুরু থেকে ছুটির দিনগুলো ছাড়া পাঠক-দর্শনার্থীদের কমবেশি আনাগোনা ছিল বইমেলার পুরোটা সময়জুড়ে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হতে যাচ্ছে মেলা। তবে শেষের দিনগুলোতে লক্ষ করা যাচ্ছে সকল বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় বেড়েছে। ব্যস্ততার কারণে পূর্বে বাৎসরিক এই মেলায় যারা আসতে পারেননি শেষ সময়ে তারাও ঘুরে যাচ্ছেন মেলা, কিনছেন পছন্দের বই। শেষমুহূর্তের মেলায় স্টলের বিক্রেতাও কাটাচ্ছেন ব্যস্ত সময়।
শুভ্রা ধর নামের এক মধ্যবয়সী কর্মজীবী এসেছিলেন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বইমেলায়। তিনি বলেন, ‘আসলে আজকাল আমরা এত ব্যস্ত থাকি, শখের জায়গায় ঘোরা বা বিষয়গুলোর জন্য সময় হয় না। দায়িত্ব পালনের ভূমিকাই ফুরাতে চায় না। বইমেলা শেষের পথে। আবার এর মধ্যে ছুটিও নেই। বাধ্য হয়ে তাই নিজেকে ছুটি দিতে হয়, ছুটি নিতে হয়। কিছু বই নিজের জন্য ও কিছু উপহারের জন্য কিনবো।’
স্বপন চৌধুরী নামে এক প্রবীণ পাঠক বলেন, ‘বয়স হয়েছে। অসুস্থতাও ভর করেছে। আগের মতো চাইলেই বের হতে পারি না। তবে বই পড়ার, কেনার যে স্পৃহা সেটা এখনও কমেনি। এ ক’দিন আসার ইচ্ছে থাকলেও পারিনি। আজ কষ্ট করে এলাম কটা বই কিনে নিয়ে যাবো। বাসায় আয়েশ করে পড়বো।’
মনোয়ার হোসেন নামে এক অভিভাবক এসেছেন সন্তানদের নিয়ে । তাদের পছন্দ অনুযায়ী কিনে দিচ্ছেন বই। নিজেও দেখছেন কোন বই পড়া চাই । তিনি বলেন, ‘ওরা (মনোয়ার হোসেনের ছেলেমেয়ে) অনেক দিন যাবত বইমেলায় আসার জন্য বায়না করছে। আমি সময়-সুযোগ পাচ্ছিলাম না। কালকে বললো যে, আব্বু বইমেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা কি বইমেলায় যাবো না? তো আমি বললাম যে, চলো কালকেই (আজ) যাই।’
শহীদুল শহিদ নামের এক তরুণ পাঠক বলেন, ‘আমি আগেও কয়েকবার এসেছি, বইও কিনেছি। আসলে একবার এলে সব স্টল ঘুরে বই দেখা সম্ভব হয় না। কিছু বই কিনবো বলে ভেবে রেখেছিলাম। বইমেলা শেষের পথে, তাই সেসব নিতে এলাম। ’