সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঈদের আগের দিন রোববার ও ঈদের দিন সোমবার সীমান্তের এপারে কোন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও এপারে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে কাঁপছে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটা থেকে রাত অবধি থেমে থেমে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছেন টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লোকজন।
সীমান্তের লোকজন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বাসিন্দারা কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ঈদের দিন পুরো এলাকা শান্ত থাকলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে এবং মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে সাবরাংসহ পুরো টেকনাফ কেঁপে ওঠে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঈদের দিনের পর সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন কোন ধরনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল আটটার পর থেকে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে খবর পেয়েছি।
এদিকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।