সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আর মাত্র এক বছর। তারপরই ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে রবি শাস্ত্রীকে। পারফরম্যান্স যেমনই হোক, আগামী বছর দেশের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের পরই বিরাট কোহলিদের হেডস্যারের পদ ছাড়তে হবে শাস্ত্রীকে। আসলে টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান হেড কোচও পড়তে চলেছেন বোর্ডের নিয়মের গেরোয়। নিয়ম অনুযায়ী ভারতের কোচ হওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬০ বছর। আর শাস্ত্রী ২০২২ সালের মে মাসে ৬০ বছর পেরিয়ে যাবেন। তার আগে আগামী বছর অক্টোবরে টি-২০ বিশ্বকাপের পরই কোচের পদে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপর বিসিসিআই যে মাত্র কয়েক মাসের জন্য নতুন করে তাকে কোচ করবে না, তা বলেই দেওয়া যায়।
এখন প্রশ্ন হল, শাস্ত্রী কোচ না থাকলে বিরাটদের হেডকোচের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? খানিকটা অবাক করার মতো একটা নাম ভেসে আসছে। তিনি গ্যারি কার্স্টেন। এখনও পর্যন্ত একমাত্র ভারতীয় কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড আছে তার দখলে। ১৯৮৩’র বিশ্বকাপজয়ী দলে কোনও কোচ ছিলেন না। আর ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ যখন ভারত জিতল তখনও কোনও কোচ ছিলেন না। সেসময় দলের ম্যানেজার ছিলেন লালচাঁদ রাজপূত। তাই এখনও পর্যন্ত কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড একমাত্র কার্স্টেনেরই দখলে আছে। সেই গ্যারিই আবার ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাকে ভারতীয় কোচ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্স্টেন বলেন, ‘আমি সবসময় চাইব (কোচ হতে)। তবে তার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক হতে হবে। ভারতকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তটা খুব কষ্টকর ছিল।’
আফ্রিকার কোচিং করিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিন আরসিবির কোচিং করিয়েছেন। গতবছর ভারতীয় মহিলা দলের জন্য কার্স্টেনকে চেয়েছিল কপিলদেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট উপদেষ্টাম-লী। কিন্তু আরসিবির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাকে বাদ পড়তে হয়। সদ্য ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার দৌড়েও তিনি ছিলেন সবার থেকে এগিয়ে। কিন্তু সেখানেও বাদ পড়েন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুন। কিন্ত কার্স্টেনের ইঙ্গিত, আগামী বছর ভারত নতুন কোচের জন্য আবেদনপত্র চাইলে তিনি আবেদন করবেন। আর কার্স্টেন আবেদন করলে লড়াইটা যে তিনি এগিয়ে থেকেই শুরু করবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা