সুপ্রভাত ডেস্ক »
ফলিক অ্যাসিড একটি বি ভিটামিন। আমাদের শরীর এটি নতুন কোষ তৈরি করতে ব্যবহার করে। ত্বক, চুল, নখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশ প্রতিদিন নতুন কোষ তৈরি করে। ডিএনএ সংশ্লেষণ, লোহিত রক্তকণিকা গঠন এবং কোষের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি। এটি একটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যা শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলিক অ্যাসিড হচ্ছে কৃত্রিম ফোলেটের রূপ যা সম্পূরক এবং বিভিন্ন খাবার যেমন ভাত, পাস্তা, রুটি থেকে আমরা পাই।
কেন ফলিক অ্যাসিড গর্ভাবস্থায় এবং এর আগে গুরুত্বপূর্ণ?
গর্ভাবস্থায় শিশুর বিকাশ শুরু হলে ফলিক অ্যাসিড নিউরাল টিউব গঠনে সাহায্য করে। ফলিক অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শিশুর মস্তিষ্ক (অ্যানেন্সফালি) এবং মেরুদণ্ডের (স্পাইনা বিফিডা) কিছু বড় জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। নিউরাল টিউব প্রাথমিক মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড গঠন করে। প্রজনন বয়সের সকল নারীকে প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করার সময়ই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত।
কোন কোন খাবারে মিলবে ফলিক অ্যাসিড?
পালং শাককে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস। অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজের পাশাপাশি ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই শাক। নিয়মিত পাতে রাখুন উপকারী পালং শাক। মসুর ডাল হচ্ছে উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের একটি বড় উৎস। প্রচুর পরিমাণে ফোলেটও মেলে এতে। ফোলেটসহ বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর সবজি হচ্ছে ব্রোকলি। সাইট্রাস ফল যেমন কমলা, আঙুর ও লেবুতে মেলে ফলিক অ্যাসিড। রুটি ও পাস্তার মতো সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস। সূত্র: সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশন এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া