মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি :
ফটিকছড়ির খিরামে দুই গ্রুপের পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে জব্বার আলী (৩৭) নামে এক ইউপি সদস্য খুন হয়েছে। নিহত জব্বার আলী খিরাম ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি একই ওয়ার্ডের বাদশা মিয়া বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
নিহত জব্বার বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন প্রতিপক্ষ শহিদুল আলমের সমর্থক।
২৫ মে সকালে উপজেলার খিরাম ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে গতকাল রাতে খিরাম ইউপিতে চেয়ারম্যান সৌরভের সমর্থক দুই ছেলেকে স্থানীয় বাজারে ঈদের শপিং করতে গেলে প্রতি পক্ষ শহিদুল আলমের সমর্থক নিহত ইউপি সদস্যসহ তাদের আটকে রেখে মারধর করে৷ পরে পুলিশি সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়।
নিহত জব্বারের মা বলেন, সকালে ঈদের নামাজ পড়ে আমার ছেলে ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছে। এমন সময় মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাড়ির পিছনে বিলের মাঝে যায়। আমিও পেছন থেকে তাকিয়ে দেখলাম। আমার ছেলের সাথে সরোয়ার, মামুন, বাহাদুর ঝগড়া করছে এমন সময় আমি দৌড়ে আসতে আসতে আমার ছেলেকে সরোয়ার গুলি করে চলে যায় । এসময় আমার ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। লোকজন ডেকে নাজিরহাট মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গত রাতের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে উন্নয়ন করছে তাই আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।
তিনি বলেন এরা সবাই চেয়ারম্যান সৌরভের কর্মী বাহিনী।
অপরদিকে, খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সৌরভ বলেন, আমি যখন চেয়ারম্যান জয়ী হলাম তখন থেকে আমার প্রতি পক্ষ শহিদুল আমার উপর আমার লোকদের উপর হামলা করে চলেছে। তিনি বলেন, গতকাল রাতে শহিদুলের লোকজন আমার দুই কর্মীকে বাজারে শপিং করতে গেলে আটক করে চাঁদা দাবি সহ মারধর করে। পুলিশি সহায়তায় তাদের উদ্ধার করি।
ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তার জানান, নিহত আব্দুল জব্বারের লাশ সুরতহাল করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যা কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।