নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামের বেইজমেন্ট-২ এ অনুষ্ঠিত শুনানিতে আপিল আবেদন করা প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে শুনানি রায় দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনাররা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আপিল আবেদন শুনানির তৃতীয় দিনে ২০১ থেকে ৩০০ নম্বর পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চট্টগ্রাম ১ (মিরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমরানের আপিল নামঞ্জুর হয়েছে।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সন্তান মাহবুব রহমান রুহেল।
চট্টগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান ফিরে আসায় সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের কন্যা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির কাক্সিক্ষত ভোট কাটতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে প্রার্থিতা ফিরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সামনে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেবের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা নদভীকে।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় নির্বাচনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুচ ছালাম বলেন, ‘চান্দগাঁও-বোয়ালখালীবাসী ও আমার সমস্ত শুভাকাক্সক্ষীর দোয়ায় আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত। সকলের ভালোবাসায় আমি থাকতে চাই। আমার সমর্থকসহ এলাকাবাসীকে আমার পাশে পাওয়ার আশ্বাস রাখছি।’
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আমি দেখেছি, মিরসরাইবাসী আমাকে কতটা ভালোবাসে। সকলের ভালোবাসায় আমি নির্বাচনের মাঠে ফিরে এসেছি। আমি চাই ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক।