সুপ্রভাত ডেস্ক »
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগণনা চলছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে শুরু হয় নির্বাচন। তবে গণনা যত এগোচ্ছে প্রাথমিক প্রবণতায় ততই কমলাকে পিছনে ফেলছেন ট্রাম্প। তা হলে কি বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘ভুল’ প্রমাণ করতে চলেছেন ট্রাম্প? প্রাথমিক প্রবণতায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত করছে। যদিও ফলাফল যে কোনও মুহূর্তে ঘুরতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকেই এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ফলের প্রাথমিক প্রবণতা বলছে অন্য অঙ্কের কথা। এনবিসি-র বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল ৪৮ শতাংশ সমর্থন পাবেন কমলা আর ৪৪ শতাংশ ট্রাম্প। এ বারের বুথফেরত সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছিল পাঁচটি বিষয়ের উপর। সেগুলি হল— গণতন্ত্র, অর্থনীতি, গর্ভপাত, অভিবাসন এবং বিদেশি নীতি।
তবে এখনও আমেরিকার রাজনীতিতে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ নামে পরিচিত সাত প্রদেশের ফলাফল এখনও জানা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, অ্যারিজ়োনা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাডা এ বার প্রেসিডেন্ট ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ‘উইনার টেকস ইট অল’ নীতির কারণে এই সাতটি প্রদেশের ভূমিকা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ণায়ক হতে পারে। আমেরিকায় সাধারণ ভাবে কিছু প্রদেশ সচরাচর ডেমোক্র্যাটদের, কিছু রিপাবলিকানদের সমর্থন করে। কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের ধরাবাঁধা হিসাব চলে না। তারা কখনও ডেমোক্র্যাট, কখনও রিপাবলিকানদের বেছে নেয়। এগুলোই ‘সুইং স্টেট’। বেশির ভাগ প্রদেশেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। অপেক্ষা শুধু চূড়ান্ত ফলাফলের।
ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অধিকাংশ দোদুল্যমান রাজ্যে প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভেইনিয়ায় তিনি এগিয়ে আছেন, যেখানে বেশিরভাগ ভোট গণনা করা হয়ে গেছে। অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনেও তিনি ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। এ দুই রাজ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট গণনা হয়েছে।
আর হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন মিশিগানে, সেখানে ৩২% ভোট গণনা হয়েছে। এই রাজ্যগুলোর কোনোটিতেই এখনও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি। পরের ভোট গণনায় হাওয়া বদলেও যেতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও বিডি নিউজ