প্রস্তুতি ম্যাচে জাকের ও মাহিদুলের ব্যাটে রান

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

মেঘলা আকাশের নিচে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হন ইনিংস বড় করতে। নতুন বলে জাকির-জয়ের সংগ্রামে টপ অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তিত হতে পারে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে বাংলাদেশের স্বস্তিকর বিষয় হলো নবাগত দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তা। জাকের আলী অনিক খেলেছেন শতাধিক বল, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ক্রিজে ছিলেন ৮৭ বল। এ দুই নবাগত ক্রিকেটারের জন্য টেস্টের আগে বেশ দারুণ অনুশীলনই হয়েছে। রোববার রাতে কুলিজে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই দিনে প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতলে এ সিদ্ধান্তই মিরাজ নিবেন তা অনুমেয় ছিল। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে পেসার শ্যারন লুইসের বলে জয় ক্যাচ দেন স্লিপে। মাত্র ১৯ বল খেলে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জয়। তিনে নামা মুমিনুল হককে জাকির সঙ্গ দেন মাত্র ২৭ বল। রাউন্ড দ্য উইকেটে আসা ডানহাতি পেসার জাইর ম্যাকঅ্যালিস্টারের বামহাতি জাকির ক্যাচ দেন স্লিপে। ফুল লেংথের বল ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন জাকির। কিন্তু বল লাগে তার আউটসাইড এজে। অনেকটা নির্বিষ ডেলিভারিতেই উইকেট হারান এ ওপেনার। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন মুমিনুল হক এবং শাহাদাত হোসেন দীপু। বৃষ্টিতে মাঝে থেমে যায় খেলা। বৃষ্টির আগে স্পিনার রায়ান বান্দুর বলে দারুণ দুই কাট শটে বাউন্ডারি মারেন দীপু। বৃষ্টির পর ইনিংসের ২১তম ওভারে দুই দিকেই সুইং করিয়ে দীপুকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছিলেন ডানহাতি পেসার জাস্টিন গ্রিভস। সাফল্য পান ওভারের শেষ বলে, ভেতরে সুইং করা বল দীপুর ব্যাট আর প্যাডের ফাঁক গলে চলে যায় স্টাম্পে। ৩০ বলে ২৫ করেন দীপু। মুমিনুলও থিতু হয়েও বড় স্কোর করতে পারেননি। ৫৮ বলে ৩১ রান করে এডওয়ার্ডের খাটো লেংথের ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন মুমিনুল। লিটন দাসও ছিলেন সাবলীল। ৫৩ বলে ৩১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট (নট আউট) হয়ে বাকিদের সুযোগ দিতে সাজঘরে যান লিটন। দৃঢ়তা দেখান টেস্টে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে অভিষেক ঘটানো জাকের আলী অনিক আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। জাকের আর মাহিদুল মিলে ব্যাট করেন ধৈর্য্য নিয়ে। পেসারদের পাশাপাশি লেগ স্পিনার রায়ান বান্দু আর নাভিদ বিডাইসিকেও ভালোভাবে সামাল দেন এ দুজন। ইনিংসের ৬১তম ওভার শেষে উঠিয়ে নেওয়া হয় জাকেরকে। জাকেরের ১১০ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ছিল ৪ চার আর ১ ছক্কা। কিছুক্ষণ পরে তুলে নেওয়া হয় মাহিদুলকে, তিনি করেন ৮৭ বলে ৪১। তার ইনিংসেও ছিল ৪ চার আর ১ ছক্কা। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। ১১ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। হাসান মাহমুদ আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর তাইজুল আর তাসকিন ২৩ রানের পার্টনারশিপ করার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেনের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট আর কিমানি মেলিয়াস। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভার করেন হাসান মাহমুদ। শুরু থেকেই হাসান গুড লেংথে অফ স্টাম্পের আশপাশে পিচ করিয়ে বলকে আউটসুইং করাচ্ছিলেন। এমন ডেলিভারিতেই উইকেটরক্ষক জাকেরের হাতে ক্যাচ দেন ওপেনার ব্র্যাথওয়েট। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তিনি। দ্বিতীয় ওভার করেন নাহিদ রানা। গতি দিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দেননি। তবে উইকেটও পাননি নাহিদ। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেটে ৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) ২৫৩/৭, ৭৩.২ ওভার (জাকের ৪৮, মাহিদুল ৪১, লিটন ৩১ হোল্ডার ২/৪৮, ম্যাকঅ্যালিস্টার ২/৪৮, লুইস ১/২৪ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেন ৫/১, ২ ওভারমেলিয়াস ৩*, ডোর্ন ২*, ব্র্যাথওয়েট ০ হাসান ১/১)। সূত্র-বিডিক্রিকটাইম