সুপ্রভাত ডেস্ক »
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বদলে আরো উস্কে দেবে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনায় এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন বাজেট প্রস্তাবনার মাধ্যমে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন খাতে নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বছরে চারবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। আর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ককে যে ছাড় দেয়া হয়েছে তা আমদানিকারকদের পকেটে ঢুকে যাবে। এটা থেকে খুব বেশি সুফল আসবে না। ফলে প্রস্তাবিত বাজেট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বদলে এটা আরো উসকে দেবে।
গবেষণা সংস্থা সিপিডি আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘চ্যালেঞ্জিং সময়ে একটি সাধারণ বাজেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটির মতে বাজেটে ‘সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা নেই, অথচ আছে উচ্চাকাঙ্ক্ষী কথা’ এবং একই সাথে কালো টাকা আবারো সাদা করার সুযোগ দিয়ে সৎ করদাতাদের তিরস্কৃত করা হয়েছে।
“চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি আনাসহ যে বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া দরকার ছিল সেগুলোর বিষয়ে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি,” বলছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
তার মতে বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করা আছে কিন্তু কীভাবে সেটি অর্জিত হবে তা বলা হয়নি। সব মিলিয়ে এ বাজেট দিয়ে চলমান সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তারা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি গত দুই বছর যাবৎ ২০ শতাংশ। মূল্য স্তর অনেক ওপরে উঠে যাওয়ায় মানুষ তার আয় দিয়ে ব্যয় সামাল দিতে পারছে না। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট নির্বাচনের ইশতেহারের সঙ্গে বিপরীতমুখী। ইশতেহারের দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলা হলেও বাজেটে তার প্রতিফলন নেই।