সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
বয়স যেন সংখ্যামাত্র। তাই তো ৩৮ বছর বয়সেও ভেলকি দেখালেন জেমস অ্যান্ডারসন। বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র ফাস্ট বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০টি উইকেট তুলে নিয়ে নজির গড়লেন তিনি। ইংল্যান্ডের হাত ধরেই ক্রিকেটে শুরু হয়েছে করোনা পরবর্তী যুগ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর বর্তমানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের লড়াই চলছে ইংল্যান্ডের। আর সেখানেই অনন্য নজির গড়লেন জিমি। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন দুটি করে উইকেট তুলে নেন তিনি। চতুর্থ দিন ঝুলিতে ভরেন একটি উইকেট। পঞ্চম তথা শেষ দিন তার পেস ঝড়ে বেসামাল হয়ে পড়েন আজহার আলি। আর সেই সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০টি উইকেটের মালিক হয়ে যান অ্যান্ডারসন। তৃতীয় টেস্ট ড্র হওয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড।
২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শুরু। দীর্ঘ ১৭ বছরের টেস্ট কেরিয়ারে বহুবার বল হাতে বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে জিমিকে। তার সিম আর সুইংয়ে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাই। ঝুলিতে থাকা ৬০০টি উইকেটের মধ্যে ১১০টিই ভারতীয় ক্রিকেটারদের। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১০৪টি উইকেট অ্যান্ডারসনের দখলে। পাঁচদিনের ফরম্যাটে ইংলিশ পেসার বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৮৩), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮৭) এবং পাকিস্তানকেও (৭৩)। ৩৮৩টি অর্থাৎ বেশিরভাগ উইকেটই পেয়েছেন দেশের মাটিতে। অস্ট্রেলিয়াতেও দারুণ সফল অ্যান্ডারসন। পেয়েছেন ৫০টিরও বেশি উইকেট। পেসার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হওয়ার পাশাপাশি আরও একটি নজির গড়লেন তিনি। গ্লেন ম্যাগ্রার সঙ্গে যুক্ত পেসার হিসেবে টেস্টে ২বার পাঁচটি করে উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়লেন তিনি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কিংবদন্তি কিউয়ি পেসার রিচার্ড হ্যাডলি।
এই অনন্য নজির গড়ার পর থেকেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন জিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছেন। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকের তালিকায় আপাতত তার সামনে শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলীধরন, অজি তারকা শেন ওয়ার্ন এবং ভারতীয় কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে রয়েছেন। খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা