নিজস্ব প্রতিবেদক »
রমজানের পুরোদিন সিয়াম সাধনার পর ইফতার নিয়ে রোজাদারদের থাকে নানান ভাবনা। আর এ ভাবনার কথা মাথায় রেখে নিয়মিতদের পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নানা পদের ইফতার মেনুর পসরা সাজিয়ে বসেন। এবারও এ চিত্রের ব্যতিক্রম হয়নি।
গতকাল শুক্রবার নগরীর জামালখান, আউটার স্টেডিয়াম, ওয়াসার মোড়, জিইসির মোড়, ওয়ারল্যাস, একে খান ও সিটি গেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর ৩টা বাজতেই রকমারি ইফতারের পসরা সাজানো শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী ব্যবসায়ীর মতো দোকানিরাও ইফতারের নানান পসরা সাজিয়েছে রাস্তার পাশে। ইফতার মেনুর মধ্যে ছিলো চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মরিচা, সমুচা, হালিম, মেজবানি মাংস, বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, তন্দুরি চিকেন, দইবড়া, রেশমি জিলাপিসহ বিভিন্ন মেনু।
এছাড়া বিভিন্ন ফ্লেভারের শরবত, জুস, খেজুর, ছোলা ভাজাসহ দই-চিড়া, পেয়ারা, পাটিসাপটা, সেমাই ও বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করতে দেখা গেছে। ছিলো বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, কেক ও বন।
দেখা যায়, প্রতিকেজি চনাভুনা ২০০ টাকা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মরিচা, আলুর চাপ, শাকবড়া সর্বনি¤œ ৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম চপ ২৫ টাকা, জিলাপি প্রতিটি ১৫ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, অনথন ১৫ টাকা, শামি কাবাব ৪০ টাকা, চিকেন রোল ৪০ টাকা, চিকেন সাসলিক ৬০ টাকা, চিকেন হালিম ৬০০ টাকা, মাটন হালিম ৬৬০ টাকা, বোরহানি লিটার ২০০ টাকা, ফিরনি কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা, জিলাপি কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় ইফতার কিনতে আসা মো. সাখাওয়াত বলেন, ‘সব রোজায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার চেষ্টা করলেও হয়ে ওঠে না। তবে প্রথম রোজাটা একসাথে ইফতার করার চেষ্টা করি। আর এবারের প্রথম রোজা ছিলো ছুটির দিনে। তাই ইফতারের প্রায় উপকরণ ঘরেই তৈরি হয়েছে। এরপরও কয়েকটি আইটেম কিনতে আসলাম। তবে সব জিনিসের যে দাম, ঘরে বানিয়ে খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য লাভজনক।’
জামালখান এলাকায় শুক্কুর নামের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘আজকে বিক্রি কম হবে চিন্তা করে কম বানিয়েছি। তবে যা বানিয়েছি, রাতের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে। মানুষ আড্ডা দিতে দিতে ঝাল আইটেম খেতে চাইবে। তবে এতো আইটেম ঘরে বানানো সহজ না। কয়েকদিন পর থেকে বিক্রি আরো বাড়বে।’