চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনাকালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের শীর্ষতম উৎস তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পখাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থবিরতা কাটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই খাতে সর্বাধিক প্রণোদনা ও ঋণ সহায়তা বরাদ্দ দেন। এজন্য এ খাতটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে রপ্তানি আয়ের সূচকে গতিশীলতা বিদ্যমান রয়েছে। তাই মনে রাখতে হবে যে কোন প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত শক্তি-সামর্থ্য, ক্ষমতা ও কর্মপরিকল্পনা সরকারের আছে। রপ্তানিমুখী শিল্পের সমস্যা আছে আবার সমাধানও আছে। শ্রমিক-কর্মচারী-মালিক ও সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টাই যে কোন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। তিনি গতকাল দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক ভবনে বিজিএমইএ’র এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথাগুলো বলেছেন। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান বন্দর নগরী। সারাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানি শিল্পের পণ্য পরিবহনগুলো চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তা-ঘাট ও সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উপর আসা-যাওয়া করে। এ কারণে চট্টগ্রামের রাস্তা-ঘাট ও সড়ক অবকাঠামোগত উন্নয়নে আবশ্যিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় বিজিএমইএ-কে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বেতন-ভাতা-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টেস শ্রমিকেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হন। তারা সড়ক অবরোধ করেন এবং এতে নাগরিক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তাই শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে রাস্তায় নামতে বাধ্য না হন সেদিকে মালিক কর্র্তপক্ষকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দকে পোশাক শিল্পখাতে প্রসার ও উন্নয়ন চসিকের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিজিএমইএ চট্টগ্রাম এর প্রথম সহ সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, আব্দুল আজিজ চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর



















































