প্রগতিশীল লেবাসে জামায়াত-শিবির

সতর্ক করলেন ডিআইজি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা প্রগতিশীলের লেবাস ধরে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। গতকাল শনিবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিনম্র শোকাঞ্জলি ও কথামালা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক পুলিশ সদস্য আত্মহুতি দিয়েছেন। রাজাকার সাঈদীকে গ্রেফতার ও রায়ের পর প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সারা বাংলাদেশে অনেক পুলিশ সদস্যকে আহত ও হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষসহ অনেক পুলিশ সদস্যের গায়ে আগুন দিয়েছে, হেলমেট দিয়ে মাথা থেতলে দিয়েছে, বহু হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল দেশের অনেক স্থাপনা।’

‘এখনো জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তথাকথিত প্রগতিশীলতার লেবাস নিয়ে দেশে গুজব ও প্রোপাগা-া ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে সতর্ক থাকতে হবে, জামায়াত-শিবিরের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। সকল গুজব আর প্রোপাগা-ার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।’ খবর সারাবাংলা’র।

সভায় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে যেখানে পাকিস্তানিরা পর্যন্ত প্রশংসা করছে, সেখানে যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি তারা এখনো বিরোধিতা করছে, এখনো ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে।’

‘পাকিস্তানের নাগরিকরা বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা একটি বড় ভুল ছিল বলে মনে করে, কিন্তু এদেশের রাজাকার ও তাদের দোসররা তা বিশ্বাস করতে চায় না। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বলব, এখন যে যুদ্ধ সেটি বুদ্ধিভিত্তিক ও জ্ঞানের। সেই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে আর জয়ী হতে হলে আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর শাখার আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকুর সঞ্চালনায় সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির আহমদ, সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় নেতা সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, জেলা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব কাজী রাজিশ ইমরান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান সজীব এবং জেলা আহ্বায়ক মশিউজ্জামান সিদ্দিক পাভেল ও সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল বক্তব্য রাখেন।