নিজস্ব প্রতিবেদক
‘আপনারা আজ সনদ প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তবে প্রকৃত শিক্ষাজীবন আজ থেকে শুরু। এতদিন পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করেছেন, সনদ লাভ করেছেন। এবারে প্রায়োগিক জীবনে প্রবেশের পূর্বে আপনাকে মূল এবং গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাগুলো অর্জন করতে হবে। সেই দক্ষতার সাথে আপনি অবশ্যই যুক্ত করবেন অমায়িক মনোভাব, যেটি বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে শিখিয়েছে। বহুমুখী দক্ষতা অর্জন করে আপনারা দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হোন।’
গতকাল বেলা ১২ টায় নগরীর নেভি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদের পক্ষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সভাপতির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চশিক্ষা দেয়ার কথা বলে ডেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাচ্ছে। অথচ মান নিশ্চিত করে তাদের কাক্সিক্ষত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী অর্জন। অ্যাক্রেডিটেশন বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। এটা ছাড়া শিক্ষার্থীরা চাকরি পাবে না। শুধু উচ্চতর ডিগ্রি নয়, ভবিষ্যতে ডিপ্লোমাকেও অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনতে হবে।’ এ সমাবর্তনে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম বিশেষ অতিথি হিসেবে ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। র্ভাচুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাবর্তন বক্তা ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ চলছে। আমাদের প্রতিটা তরুণ যাতে শোভন পেশার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে এজন্য চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার যাত্রার সূচনা। ’
জাতীয় সংগীত ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্যে দিয়ে সমাবর্তনের জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আনোয়ার। এ ধারাবাহিকতায় ‘টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’ প্রতিপাদ্যে এই সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পাশকৃত মোট ৫৬৪৯ জন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১৫১৭ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাবর্তিত করা হয়। এতে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।