ডেস্ক রিপোর্ট »
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, কোনো অপরাধ না করেই শাস্তি পেয়েছি।
এদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয় প্রদীপ কুমার দাশকে। এ মামলার আরেক আসামি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ পলাতক।
আদালত ভবন থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে জোরে জোরে কথা বলতে শুরু করেন প্রদীপ।
তিনি দাবি করেন, দেশের জন্য তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আর ‘কোনো অপরাধ না করেই’ শাস্তি পেয়েছেন।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার অনুকম্পা চাই, সাহায্য চাই।”
এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে ফেলেন। আদালত প্রাঙ্গণে থাকা লোকজন বলতে থাকে, ‘এসব বলে লাভ নেই।’ প্রদীপকে উদ্দেশ্যে করে ‘চোর চোর’ বলে ধুয়ো দিতেও শোনা যায়।
গত ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ সিনহা হত্যা মামলার রায়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপক কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ওই রায়ে।
সেদিন রায় ঘোষণার পর নির্বিকার ছিলেন প্রদীপ। বৃহস্পতিবারই এভাবে প্রকাশ্যে নিজেকে নির্দেোষ দাবি করে কথা বলতে দেখা গেল।