নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী। সিইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, বাৎসরিক ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করেন।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে যখন আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা, তখন হঠাৎ মডিস্ট, জেএমএস এবং মেরিমো কারখানার শ্রমিকরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় অনেকের হাতেই লাঠি দেখা যায়। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সোলায়মান বলেন, ‘শ্রমিকেরা পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বেতন-ভাতার জন্য নয়। দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
সিইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, আন্দোলনের সময় কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে আরেক কারখানার শ্রমিকের কথাকাটাকাটি হয়। এর পরেই তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের উদ্দেশ্যে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষের আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেলেও কয়েকজন রোগী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানা যায় চমেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগ সূত্রে।
ওয়ার্ডের এক স্টাফ নার্স বলেন, সিইপিজেড শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। আর ১২ জনকে ভর্তি করা হলেও তার মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সবুজ জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার পর আহত শ্রমিকরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। অন্তত ১২ জন হাসপাতালে এসেছেন। তাদেরকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজন হাসপাতালে ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে চমেক সূত্রে জানা গেছে।