সুপ্রভাত ডেস্ক :
চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন দুর্গা পূজা। ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে আছে মা দুর্গাকে বরণ ও প্রস্থানের নানা ব্যঞ্জনা! শোবিজের সনাতন ধর্মাবলম্বী তারকারা এবারের উৎসবেও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কে, কোথায়, কীভাবে কাটাচ্ছেন সেই পর্বে কথা বলেছেন তারকা- খবর বাংলাট্রিবিউন’র
অপু বিশ্বাস
এবারের পূজাটা আমার জন্য একেবারে অন্যরকম, বিষণ্ণ। এই সময়টায় মাকে (শেফালী বিশ্বাস) নিয়ে বিভিন্ন পূজা ম-পে ঘুরতাম। অষ্টমীর দিন মা আর আমি একই রকম পোশাক পরতাম। মা কাশফুল ভীষণ পছন্দ করতেন। এর ফাঁকেই আমরা কাশবনেও যেতাম। পূজায় মায়ের ব্যস্ততা বেশি থাকতো। তিনি সব সামলে দিতেন।
বিদ্যা সিনহা মিম
ঢাকাতেই আছি। করোনার কারণে এবার আর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে যাওয়া হলো না। প্রতিবছরই পূজার সময়টা একছুটে চলে যেতাম গ্রামে। সেখানে বিশাল নৌকা বাইচ হয়। এটা খুব মিস করি। আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বেশ আনন্দ করে পূজার উৎসব পালন করতাম। এবার বাসায় বসে পূজার আনন্দ যতটুকু করা যায় করবো।
বাপ্পা মজুমদার
পরী তো ডিসেম্বরে হলো। তার তো এবারের পূজায় উড়ে বেড়ানোর কথা। ভেবেছিলাম বাবা হিসেবে সঙ্গী হবো। ঘুরে বেড়াবো ম-পে ম-পে। কিন্তু পরিস্থিতি সহায় হলো না। তাই এবারের পূজায় একেবারে ঘরেই থেকে গেছি।
জ্যোতিকা জ্যোতি
আমি এখন ময়মনসিংহে আছি। সবাই পূজা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত আমিও। তবে এর সঙ্গে আরও একটা বিষয় যুক্ত হয়েছে আমার কৃষি কাজ। ভোর থেকে ময়মনসিংহের মাছের আড়তে আড়তে ঢুঁ দিলাম।
বাপ্পি চৌধুরী
টানা শুটিংয়ে ব্যস্ত। তবে পূজার আনন্দ মিস করছি না। সারাদিন শুটিং করি, আর মধ্য রাতের পর বেরিয়ে পড়ি। অভিনয়ে আসার পর আমি সাধারণত ম-পে যাই রাত দুইটার পর। এ সময় লোকসমাগম কম থাকে। তবে দশমীর দিন (২৬ অক্টোবর) অনেক বেশি আনন্দ করতে চাই। নারায়ণগঞ্জ যাবো।
পূজা চেরি
এবারের পূজায় আমার একদমই প্রস্তুতি নেই। কারণ করোনা। ছয় মাস আগেও বাসায় যেভাবে থাকতাম, পূজাটাও সেভাবে কাটাতে হচ্ছে। তবে ছোটবেলার পূজাটা খুব মিস করছি। যদিও বলা যায়, আমি এখনও ছোট। আরও ছোটবেলার কথা বলছি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে আমাদের উঠোনে (খুলনায়) সবচেয়ে বড় ম-প হতো। মা দুর্গার সঙ্গে থাকতেন গণেশ, কার্তিক, সরস্বতীসহ অনেক দেব-দেবী। এই বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগতো। মনে হতো, এত এত দেবতা আমাদের বাড়িতে এসেছেন।
আবার যখন একটু বড় হলাম, মিডিয়ায় কাজ শুরু করলাম, তখনও ঢাকার ম-পগুলোতে যেতে ভীষণ পছন্দ করতাম। অনেকে চিনতে পারতেন, অনেকে পরে চিনতেন। এক পা এগিয়ে এসেও দু’পা পিছিয়ে যেতেন। এটা খারাপ লাগে না। কারণ, আমি চাইতাম লোকজন অল্প হলেও আমাকে যেন চেনেন।
এবারের পূজায় গ্রাম ও শহরের এ দুটি জিনিসই মিস করেছি। হয়তো আগামী পূজায় এমনটা হবে না। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।