পুলিশের তাড়া খেয়ে আহত পটিয়া আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া
চলমান অভিযানে পটিয়া পুলিশের তাড়া খেয়ে আবদুল খালেক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়ে ৬ দিন পর মারা গেছেন। তিনি পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি পুলিশি নির্যাতনের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে স্ট্রোক করেছেন।
পরিবার ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর আবদুল খালেককে গত ৪ অক্টোবর পুলিশ গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যান। এ সময়ে পটিয়া থানার ২০-৩০ জনের পুলিশের একটি টিম আ’লীগ নেতা খালেকের বাড়ি ঘিরে ফেলে। ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে মারধর করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। ওখানে চিকিৎসার কোন উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারা গেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেকের স্ত্রী হাসিনা আকতার অভিযোগ করেন, পুলিশ রাত ২টার দিকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা খোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। দরজা খুলতে বিলম্ব হওয়ায় পুলিশ দরজায় একাধিক লাথিও মারেন। পরে দরজা খুলে দিলে আ’লীগ নেতা আবদুল খালেক পিছনের দরজা দিয়ে তার বের হলে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে আটক করে বেদমভাবে প্রহার করে। এক পর্যায়ে আবদুল খালেক অজ্ঞান হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকরাম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর ও পুলিশ দিয়ে তাড়া করার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল খালেক পুলিশ দেখে ঘরের দোতলা থেকে লাফ দিলে তিনি আহত হন। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টির ওয়ারেন্ট থানায় রয়েছে।