শুভ্রজিৎ বড়ুয়া »
নগরের আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনি জি-ব্লকের কলসি বিল্ডিং এলাকা। প্রায় পাঁচশ পরিবার এখানে পাহাড়ের গায়ে অবৈধ বসতি গড়ে তুলেছে। জমির মালিক না হয়েও তারা পেয়েছে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। আর এভাবে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে যে কোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে ।
এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, কলসি বিল্ডিংয়ের সামনের পাহাড়ের নিচে, মাঝে ও উপরে গড়ে উঠেছে শত শত ঘর। এরমধ্যে দুইটি পাকা হলেও বাকিগুলো টিনের। এখানে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে সংযুক্ত অনেকগুলো বৈদ্যুতিক সংযোগ, যা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কয়েক বছর ধরে।
শিরিন নামের স্থানীয় এক মহিলা অভিযোগ করেন, এখাকার লোকজন জমির কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে বৈদ্যুতিক মিটার পেয়েছে? তারা কোটা (হুক) দিয়ে লাইন টেনেছে। দুইদিন পর পর এসব লাইনে সমস্যা হয়। কখন যে কী বিপদ ঘটে কে জানে!’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিপণন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ বিষয়ে সুপ্রভাতকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওখানে সবার বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে। সবাইকে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে রাজস্ব না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
পাহাড়ে অবৈধ দখল নিয়ে কীভাবে মিটার পেলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকে তারা এ লাইনগুলো নিয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোথাও কোনো অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়নি। বরং আলীনগর এলাকায় আট মাস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছি। কিন্তু পরে তারা হাইকোর্টে রিট করে বিদ্যুতের সংযোগ পায়। আমি বিশ্বকলোনি এলাকাটির তথ্য যাচাই করে দেখবো। যদি তাদের জায়গার কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ওখানে এভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া ঠিক হয়নি। বিষয়টি আমরা যাচাই করে দ্রত ব্যবস্থা নিব।’