জাহিদ হাসান হৃদয়, আনোয়ারা »
আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকতে দেখে মিলেছে একাধিক বিরল প্রজাতির মৃত কচ্ছপ। কচ্ছপগুলো বিচ থেকে সরিয়ে না ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পর্যটকরা।
রোববার বিকেলে সৈকতের দক্ষিণ দিকের স্থানীয়দের নজরে আসে মৃত কচ্ছপ গুলো। কচ্ছপগুলোর এক একটির ওজন আনুমানিক ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজি হবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানেলের সার্ভিস এরিয়ার পিছনে দু’টি, লুসাই পার্কের সামনে আরো তিনটি কচ্ছপের মরদেহ পড়ে রয়েছে। যেগুলো প্রায় পচন ধরেছে। আরো দু’টা গতকাল স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাটিতে পুঁতে ফেলে। এখনো পর্যন্ত এগুলো বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন পর্যটকরা।
রিয়দ হোসেন নামের সৈকতে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু ঘুরতে সৈকতে আসছি। পায়ে হেঁটে চরের দক্ষিণে যাওয়ার সময় মৃত অবস্থায় কয়েকটি কচ্ছপ জোয়ারের পানিতে ভেসে আসতে দেখি। কচ্ছপটির শরীরে পচন ধরেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, পারকি সমুদ্র সৈকতে এমন ঘটনা সচরাচর হয়নি। মৃত্যুর বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে । বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগ এর সাথে যৌথভাবে এটার পর্যবেক্ষণ করলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন , জলপাইরঙা সাগর কাছিম বা পান্না কাছিম এই প্রজাতির কচ্ছপ বাংলাদেশে বেশি দেখা যায়। এগুলোর মারা যাওয়ার পিছনে প্রাথমিক যে কারণ থাকতে পারে তা হচ্ছে, বয়সের কারণে, মাছধরার ট্রলার বা শিপের আঘাতে, মাঝধরার জালের আঘাতে অথবা বিষক্রিয়া। আমরা বিষয়টি দেখছি। খোঁজখবর নিয়ে এর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসোর্চ সেন্টারের গবেষক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, এতগুলো কচ্ছপের এক সাথে মৃত্যুর বিষয়টি উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে কচ্ছপগুলোর মৃত্যু হওয়ার। তবে মনে হচ্ছে জাহাজ থেকেও অনেক সময় বিষাক্ত পদার্থ পানিতে ছেড়ে দেয়। বিষক্রিয়ায় এসব কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে।