এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র ওয়েবিনার
‘সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের সুব্যবস্থার অভাবে শ্রেণি বৈষম্যের নতুন মাত্রা হিসেবে যোগ হয়েছে শহরতলীর বসবাসকারীদের মধ্যে। নিরাপদ পানি সরবরাহে সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সাথে সাধারণ জনগণের সমন্বয়ের ঘাটতির একমাত্র কারণ নাগরিকদের প্রকৃষ্ট জ্ঞানের অভাব ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন না করা। ব্যক্তি পর্যায়ে সকল নাগরিকের যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলা ও সরবরাহ লাইনের পানির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে ও সামরাস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের কারিগরি সহায়তায় এসডিজি-৬ ‘নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান এ কথা বলেন।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে এসডিজি-৬ ‘নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম ফেইজবুক পেইজ থেকে সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল আলোচনায় প্যানেল আলোচক ছিলেন চবি হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন বিশ্বাস, অস্ট্রিয়ার গ্রেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েগেনার সেন্টার ফর ক্লাইমেট অ্যান্ড গ্লোবাল চেইঞ্জের গবেষক ও বিজ্ঞানী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান খান, সাংবাদিক তারেক সালাউদ্দিন, ওব্যাট হেল্পার্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আখতার খান, চবি সাইন্টিফিক সোসাইটির সভাপতি দিবস দেব প্রমুখ।
ড. সেলিম উদ্দীন বলেন, ‘পুরো বিশ্বের মত বাংলাদেশেও এসডিজি-৬ অর্জনের মূল অন্তরায় নিরাপদ পানির ঘাটতি, ঝুঁকি, অভিগম্যতা, পানির সঠিক গুণগত মানের অনিয়ন্ত্রণ এবং পানির উৎস সমূহের নানামুখী দূষণ ও দখল। ভৌগোলিক অবস্থানগত ও পানির ঘাটতিজনিত সমস্যার কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৭০ কোটি লোক বাস্তুহারা হওয়ার সম্ভাবনা আছে যা এখনই সবার ভাববার বিষয়। তাই সকলের উচিত পানির পরিমিত ব্যবহার ও অপচয় রোধে সচেষ্ট হওয়া’।
ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘আগামী ৫ থেকে ১০ বছর পর চট্টগ্রাম শহরে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য অন্যতম সমস্যা হবে নিরাপদ পানির ঘাটতি। বর্তমানে যে উৎসগুলো তথা হালদা ও কর্ণফুলী থেকে পানি সংগৃহীত হচ্ছে ক্রমবর্ধমান চাহিদার যোগানে, তার পাশাপাশি আরো নতুন উৎসের সন্ধান খুঁজে বের করা উচিত পানি সরবরাহকারী সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর। তিনি আরো বলেন, নতুন কোনো অবকাঠামো বা শিল্পাঞ্চলের চাহিদাযোগ্য ব্যবহারের পানি সরবরাহের সক্ষমতা হালদা কিংবা কর্ণফুলী নদীর নেই। তাই এসব ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সতর্ক ও সুদূরপ্রসারী হওয়া দরকার’। বিজ্ঞপ্তি