‘দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার মর্ত্যে আগমনী হয় অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভশক্তির জাগরণী বার্তা জানিয়ে। এই করোনাকালে দেবীর আরাধনা উৎসব বাহুল্যতায় নয়, অন্তর থেকে স্বাত্তিক পূজা নিবেদন করে।’
গতকাল অপরাহ্নে জামালখান কুসুম কুমারী সি/ক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চসিক পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয়া দুর্গাপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরা অন্তরে সৃষ্টিকর্তাকে ধারণ করেন। প্রত্যেক ধর্মেরই মর্মকথা শুদ্ধাচারী জীবনাচরণ এবং শান্তিই হচ্ছে মূলবাণী। আমরা যদি সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির পূজারী হতে পারি, তা হলে মানবতার জয়গানে পৃথিবী মুখরিত হবে এবং জগৎ সংসার থেকে সকল কালিমা মুছে যাবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৯৫ সালে চসিকের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সর্বপ্রথমবারের মত শারদীয়া দুর্গোৎসব উদযাপনের সূচনা করেন। এ ছাড়া তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতিক এবং তিনি ধার্মিক কিন্তু ধর্মান্ধ নন। তিনি সিটি করপোরেশনে কর্মরত সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মাচারণের পথ সুগম করে দিয়ে গেছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে। এ দেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মিলে-মিশে এক সাথে বসবাস করে। ধর্মে ধর্মে এমন অতুলনীয় সহাবস্থান পৃথিবীতে বিরল।
তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মেনে দুর্গোৎসব উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুর্গোৎসব চলাকালে শান্তি ও সম্প্রীতির অনুকূল পরিবেশ রক্ষায় চসিক সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোন ধরনের উচ্ছৃঙ্খলা যাতে না হয় সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করে দেন। চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কুসুম কুমারী সি/ক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চম্পা মজুমদার, পরিষদের সহ-সভাপতি আশুতোষ দে, সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর