শারদীয় দুর্গাপূজায় হামলা, পূজামন্ডপ ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, হত্যাকান্ডকে গল্প রটানো বলে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বক্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচি “ধিক্কার মিছিল” ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে শুরু হয়। মিছিলপূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ১৩ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৭টি জেলায় সংগঠিত সাম্প্রদায়িক হামলায় ১১৭টি মন্দির ও পূজাম-প, ৩০১টি বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে প্রচারিত ঘটনাবলীকে ‘চলমান প্রপাগান্ডা’ হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বিশে^ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে। সাম্প্রদায়িকতা চলাকালে প্রধানমন্ত্রী ও এর পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সামগ্রীক ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তাঁর সম্পূর্ণ বিপরীত, যা পৃথিবীজুড়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, ইসকনের মুকুন্দ ভক্তি দাশ, ঐক্য পরিষদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড়, সুমন কান্তি দে, সাগর মিত্র, ডা. তপন দাশ, সিঞ্চন ভৌমিক, চন্দন দত্ত, রাণা মহাজন, বাবলু কুমার দেব, প্রিতম দাশ, যীশু নাথ, প্রণব রাজ বড়–য়া, ডা. দেবাশীষ মজুমদার, মিনু রানী দেবী, রিপন সিং প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর