মহানগর আওয়ামী লীগের বিবৃতি
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন করোনা সংক্রমণের তীব্রতার মধ্যেও ব্যবসায়ী ভোক্তাদের আকাক্সক্ষার প্রেক্ষিতে লকডাউন চলাকালীন কঠোরতা শিথিল করে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান-পাট, মার্কেট, শপিং মল ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত যাতে হিতে-বিপরীত না হয় সে জন্য দোকান-পাট, শপিং মল, প্রতিষ্ঠানের মালিক-ব্যবসায়ী-প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ভোক্তাদের সর্তক ও সজাগ থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং অহেতুক জনসমাগম এড়িয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনা-বেচা করার এবং নো-মাস্ক নো সার্ভিস নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় ঘটলে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে দ- ও শাস্তি প্রয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার দোকান-পাট ও শপিং মল খোলা রাখার প্রথম দিনে ক্ষেত্র বিশেষে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা না মানার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এমন কি নির্ধারিত সময়-সীমার আগে পরে দোকান-পাট ও শপিং মল খোলা রাখা হয়েছে। এই প্রবণতা কিছুতেই কাম্য নয় এবং দ-যোগ্য অপরাধ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার জীবন সুরক্ষার পাশপাশি জীবিকার চাকাকেও সচল রাখতে চায়।
তবে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হয় বা হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন কোন বিরুপ পরিস্থিতি-পরিবেশ সৃষ্টি হলে তার দায় দোকান-পাট-শপিংমল-মার্কেট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের দায়ী হতে হবে এবং আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে না।
সরকার ও প্রশাসন এই কঠোরতা অবশ্যই পালন করবেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকার মানবিক ও যৌক্তিক বিবেচনায় যে সব ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে তার বাইরে কেউ সীমা লঙ্ঘন করবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।