সুপ্রভাত ডেস্ক »
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপ খনন শুরু করেছে। ১২০ দিনের মধ্যে খননকাজ শেষ হলে এখানকার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
দেশে শিল্প খাত ও আবাসিকে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। আমদানির তুলনায় দেশীয় উৎস থেকে পাওয়া গ্যাস অনেকটাই সাশ্রয়ী। তাই দেশীয় উৎস সন্ধান ও উৎপাদনে নজর বাড়াচ্ছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভারের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর অম্বরনগরে ‘বেগমগঞ্জ -৪ উন্নয়ন কূপ খনন’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বাপেক্স। সম্পূর্ণ দেশীয় জনবল সক্ষমতায় এখানে খননকাজ চলবে ১২০ দিন। এরপর মিলতে পারে ফলাফল।
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ-৪ মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রিগ উত্তোলনের মাধ্যমে আমরা খনন কাজ শুরু করেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পের খননবিদ গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘খনন করার মাধ্যমে আমরা গ্যাসের অস্তিত্ব বুঝতে পারবো।’
আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননে ড্রিলিং রিগ বসানো হয় সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে। প্রাথমিকভাবে কূপটিতে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্য রয়েছে। এর ৪টি জোনে মিলতে পারে গ্যাস। আর খনন শেষে কূপ থেকে দিনে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা যাবে ধারণা প্রকৌশলীদের।
প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মোহাম্মদ আল হেলাল বলেন, ‘আমরা আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে মূল খননের কাজ করতে পারবো। এখানে ৪ টা লেয়ারে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে। যদি কোনো টেকনিক্যাল বাধা না আসে তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হবে।’
কয়েক বছর আগে এ ধরনের কাজ করতে বিদেশি সহায়তা প্রয়োজন হলেও এখন সে চিত্র বদলেছে। বেগমগঞ্জ -৪ উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পে কাজ করছেন দুইশ’র বেশি দেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিক।
১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে বেগমগঞ্জে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি ওই দুটি কূপে। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাসের উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভারের পরে জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ হচ্ছে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।