সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদসহ মোট ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার বেলা ২টার দিকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন নোমান আল মাহমুদ।এছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. কামাল পাশা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দীন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী ও মীর মো. রমজান আলী।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে। এরপর ২৯ মার্চ প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর উপস্থিতিতে প্রার্থী বাছাই হবে। তারপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।’ ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৯০টি ভোটকেন্দ্র থাকবে জানিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৭৫২ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে জানিয়ে হাসানুজ্জামান বলেন রমজান মাসের মধ্যে তা শেষ হবে। আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। পরে কয়েকজন বেরিয়ে যান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নোমান আল মাহমুদ বলেন, আমার দুই পূর্বসুরী মইন উদ্দিন খান বাদল ও প্রয়াত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। আমার সব স্তরের নেতাকর্মীরা যদি সহযোগিতা প্রদান করেন এবং আমি যদি নির্বাচিত হই তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হব। এই অঙ্গীকার পালনে আমি অবশ্যই আমার সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করব।এছাড়া স্থানীয় যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান নোমান। তিনি বলেন, আশা করি উপনির্বাচনে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী যারা ছিলেন তাদেরও যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল। তারা মনোনয়ন না পেলেও আমাকে সহযোগিতা করবেন। খবর বিডিনিউজ।
কারণ আমরা দলের এক ও অভিন্ন শক্তি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও অর্জন হবে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করা। যার প্রভাব দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও প্রভাবিত করবে। মনোনয়নপত্র জমার সময় নোমানের সঙ্গে ছিলেন নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। প্রায় এক বছর ক্যান্সারে ভোগার পর ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান এ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। চলতি সংসদের মেয়াদে এই আসানে এটি দ্বিতীয় উপনির্বাচন। এরআগে সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।