নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সমাবেশমুখী মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক »

স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা করার আশাবাদ নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ১১ বছর পরে অংশ নেয়া এ জনসভা নিয়ে তাদের জল্পনা-কল্পনা অনেক। সকাল থেকেই এর প্রতিফলন দেখা যায়। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে লোক মাঠে ঢুকতে শুরু করেছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ জমায়েত শুরু হতে থাকে।

সরেজমিনে জনসভাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাঠজুড়ে প্রচারণায় রাখা হয়েছে প্রায় ৬০টি বেলুন। প্রচারণার জন্য ওড়তে থাকা বেলুনগুলো বাড়িয়েছে সভাস্থলের সৌন্দর্যও। মাঠে চারটি স্তরে বাঁশ ব্যারিকেড রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে। তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি ফটক (গেট) এরমধ্যে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথকভাবে দুইটি প্রবেশের ও দুইটি বাইরে যাওয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া মঞ্চের পেছনে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার ফটক। এছাড়া রয়েছে একটি মেডিকেল পয়েন্টসহ প্রায় ৫০টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও একটি শরবতের গাড়ি।

আরও দেখা যায়, অবাধে নেতাকর্মীদের মাঠে প্রবেশ করার ব্যবস্থা রাখা হলেও নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই সবাইকে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পুরুষদের জন্য পলোগ্রাউন্ড মাঠের মূল ফটকটি প্রবেশমুখ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের পাশে রাখা হয়েছে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার পথ। আর মহিলাদের জন্য পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একপাশে প্রবেশের ও অন্যপাশে বেরিয়ে যাওয়ার পথ রাখা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ব্যান্ডের বাজনার সঙ্গে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। দলে দলে লোক স্লোগান নিয়ে ছোট ছোট মিছিলে প্রবেশ করতে থাকে। তবে ভিড় বাড়তে শুরু করে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে।

নিরাপত্তা বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখানে বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। পুলিশও সবার সঙ্গে একসাথে দায়িত্ব পালন করছেন। যে গেট দিয়ে যাদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে, সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জেনেছি।