সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
পূর্ব গ্যালারিতে ঝুলছে মুশফিকুর রহিমের হুঙ্কার ছোড়ার ছবিতে বিশাল ব্যানার। গ্যালারিতেও আসা সমর্থকদের হাতেও কয়েকটা ব্যানার-প্লাকার্ড। সব মিলিয়ে মুশফিকের শততম টেস্টকে ঘিরে স্টেডিয়ামের বাতাসেই যেন মিশে আছে এক ধরনের উচ্ছ্বাস। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়ে এমন আবহ স্বাভাবিকই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তিনি সত্যিকারের এক মহীরুহ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশর সবচেয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ার মুশফিকের। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক রান তার। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরি, একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি, এমন আরও অনেক রেকর্ড ও অর্জনে রাঙিয়েছেন তিনি নিজের ক্যারিয়ার। এত বছরের ক্যারিয়ার, এত সাফল্যের পরও নিজেকে তিনি দেখেন না ওই উচ্চতায়। শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও আবার তাকে দেখা গেল সেই রূপে, গৌরবের চ’ড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে যিনি দেখেন ক্ষুদ্র করে। যেন সাফল্য নয়, দায়িত্বটাই তার কাছে বড়। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটারের কণ্ঠে ফুটে উঠল, আলোটা তার দিকে এলেও তিনি যেন খুঁজে ফেরেন ছায়া। শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও সেটা বদলায়নি। অর্জন নয়, নিজের দায়িত্বটাই যেন তার কাছে বড়। বৃহস্পতিবার প্রথম ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে সেটাই আবার মনে করিয়ে দিলেন।
‘প্রতিটি ম্যাচেই আমার চেষ্টা থাকে নিজের সেরাটা দেওয়ার, দলের জয়ে যতটা সম্ভব বড় ভূমিকা রাখার। বুধবারও বলেছি ক্যারিয়ার ১০০ ম্যাচ হোক বা যে কারও যে কোনো মাইলফলক, সবকিছুর আগে থাকে দলের প্রয়োজন। আমি শুধু সেটাই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি।’ ‘বাংলাদেশের জন্য আমি মুশফিকুর রহিম, সমুদ্রের দুই-একটা ফোঁটার মতোই। নাম বড় কি না, সেটা আসলে আলাদা বিষয়। দেশের কথাটাই আগে, দলের কথাটাই আগে। আমরা দেশের জন্য খেলি—এই বার্তাটাই দিতে চেয়েছি। এই ম্যাচে জয়ই হবে আমার সবচেয়ে বড় উপহার। আমি রান করি কি না, সেটা খুব বড় বিষয় নয়। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে যে কিছু অবদান রাখতে পেরেছি। আর অবশ্যই চাই, যেন এই ম্যাচটা জিতি এবং সবাই মিলে উপভোগ করতে পারি।’




















































