নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৫২ জন শ্রমিক নিহত হওয়ায় চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে কারখানা পরিচালনায় শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী নীতিমালাসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ না হওয়ায় শ্রমজীবী মানুষকগুলো বারবার কাজ করতে গিয়ে অনাকাক্সিক্ষত ও মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনার জন্য আইন না মানার প্রবণতা যেমন দায়ী তেমনি আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের দায়িত্বহীনতা, অযোগ্যতা এবং দুর্নীতি পরায়ণতাও সমান দায়ী। তাই এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধকল্পে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ নিহত ও আহতদের তালিকা করে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে লস অব ইয়ার আর্নিংস নির্ণয় করে নিহতদের আজীবন আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সাফারিংস ও পেইনস নির্ণয় সে মোতাবেক চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন স্কপের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক ও টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি তপন দত্ত, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শফর আলী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলার সাধারণ সম্পাদক মো মামুন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের মো আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক ফ্রন্টের মো কবির, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের নূরুল আবছার, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দিদারুল আলম, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জাহেদ উদ্দিন শাহিন, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের কাজী আনোয়ারুল হক হুনী, জাতীয় শ্রমিক জোটের আব্দুল মোমিন প্রমুখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি