সংবাদদাতা (নাজিরহাট), ফটিকছড়ি »
ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর প্রাচীনতম সেতু নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। গতকাল সকাল ৮টায় তিনি জীর্ণ সেতুটি পরিদর্শন করেন। এ সময় সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর আগমন উপলক্ষে নাজিরহাট পৌরসভার আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী পুরাতন হালদা সেতুর স্থলে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, নাজিরহাটে হালদা নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মিত হয়েছিল লোহার সেতু। পুরাতন হালদা সেতু নামে পরিচিত সাড়ে তিনশ ফুট দীর্ঘ ও ১২ ফুট চওড়া ৯৩ বছর বয়সী সেতুটিতে গাড়ি উঠলেই দুলতে থাকে। তবুও ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়েই চলেছে যানবাহন।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের সব যানবাহনই এক সময় পুরাতন হালদা সেতু দিয়ে চলাচল করত। সেতুটি ১৯৯৪ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আট বছর আগে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে সর্বশেষ এটি মেরামত করা হয়। তবে সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে সেতুর মুখে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দায় সেরেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ওপরের কার্পেটিং স্থানে দেবে গেছে। এ ছাড়া দুই পাশের লোহার পাটাতনগুলো ভেঙে পড়েছে। নিচের খুঁটিগুলোর মাটিও সরে গেছে। সেতুর পাশের দোকানদার এম এইচ মুন্না জানান, প্রতিদিনই সেতুর দুই পাশে যানবাহনের যানজট থাকে। জরুরি প্রয়োজনে সেতু পারাপার করতে গিয়ে হালদার দুই পাড়ের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।