সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিদেশের সব সেনা প্রত্যাহারের মধ্যে মাত্র দশ দিনে গোটা আফগানিস্তান দখলে নিয়ে তালেবান রাজধানী কাবুলে ঢোকার পর প্রেসিডেন্ট আশারাফ গনি সরকারের ঘনিষ্ট সদস্যদের নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় দেশত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে টোলো নিউজ।
দেশটির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ দোর্দণ্ড প্রতাপে তালেবানের কাবুল দখল করার পর দুটি সূত্রের বরাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির দেশত্যাগের খবর জানিয়েছে। এর আগে তালেবান প্রতিনিধিদলের প্রেসিডেন্ট গনির প্যালেসে ঢোকার খবর পাওয়া যায়।
সূত্র দুটি বলেছে, রোববার তালেবান রাজধানী কাবুলে ঢোকার পর প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশত্যাগ করেন। এসময় প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে তার কিছু ঘনিষ্ট উপদেষ্টা ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও চলে গেছেন।
কাবুলে তালেবানি আক্রমণের মুখে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়েছেন আশরফ গনি। তালিবানের হাতে ইতিমধ্যেই ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই পর্ব চলাকালীন সে দেশে সরকার চালাবেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলি আহমেদ জালালি। অর্থাৎ আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন তিনিই।
কাবুলে জন্মগ্রহণ করলেও ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত আমেরিকার নাগরিক ছিলেন জালালি। ২০০৩ সালে ফিরে এসেছিলেন স্বদেশে। সেই সময়েও আফগানিস্তানে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল। ওই অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ২০০৪ সালে নতুন সরকার গঠনের পর আবার ওই মন্ত্রকেরই দায়িত্ব পান জালালি।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা তালেবানের হাতে চলে যাওয়া নিয়ে সম্প্রতি একটি টুইট করেছিলেন জালালি। লিখেছিলেন, ‘দুর্বল নেতৃত্ব এবং রণকৌশলের অভাবের কারণে আফগান সেনাকে আজ এই মূল্য চোকাতে হল। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ প্রাদেশিক রাজধানী বেদখল হওয়া আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।’
রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৬টিই দখল করে ফেলেছিল তালেবান। বিগত দু’দিনে একে একে হেরাট, আয়বাক, গজনি, কান্দাহার, তালিকান, কুন্দুজ দখল করে তারা। উত্তর দিক থেকে কাবুলের প্রবেশ পথ মাজার-ই-শরিফও একদিনেই দখল করে নেয় তালিবান। রবিবার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদে ওড়ে তালেবানি পতাকা। তার পর বিনা যুদ্ধে দুপুরের মধ্যেই কাবুল দখল নেয় তালেবান।
 
				 
		
















































