দেশি-বিদেশি সমর্থন আছে, কিন্তু ফয়সালা হবে রাস্তায়

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দিনে বারবার চট্টগ্রাম থেকে আমরা প্রমাণ করেছি, আন্দোলনে সংগ্রামে চট্টগ্রামবাসী কী ভূমিকা রেখেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়েছে বিগত আন্দোলনগুলোতে। সময় এসেছে, আবার আমাদেরকে ওয়াদা করতে হবে, যে আন্দোলনের সম্মুখীন আমরা হচ্ছি সেই আন্দোলনের জন্য তৈরি হতে হবে। বিদেশিদের সমর্থন আছে, দেশীদের সমর্থন আছে, কিন্তু ফয়সালা করতে হবে রাস্তায়। রাস্তায় ফয়সালা করতে হবে। খবর ঢাকা পোস্টের।
মঙ্গলবার নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি দুটি সার্ভে রিপোর্ট পত্রপত্রিকায় আসছে। একটি সার্ভে হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আগামী নির্বাচনের পরে যে জাতীয় সরকারের কথা ওনি জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন এটার পক্ষে কারা আর বিপক্ষে কারা আছেন। একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক চ্যানেল এ সার্ভে করেছে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারেক রহমান সাহেবের সিদ্ধান্তই সঠিক।
তিনি বলেন, আরেকটি সার্ভে করেছে ইকোনমিস্ট পত্রিকা। সারাবিশ্বে এ পত্রিকা খুবই জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। তারা সার্ভে করেছে যে, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে কারা কারা আছেন। অর্থাৎ আমাদের যে দাবি, নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছি, সেটার পক্ষে কারা আছে সেটা নিয়ে সার্ভে হয়েছে। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভোট দিয়েছে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে। এখন জনমত বোঝার আর বাকি নেই। আমি কথাটা এজন্য বললাম জনমত, নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই। জনমত গঠিত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনস্থির করেছেন। বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন দানা বেধেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে, সরকার পতনের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ও গোলাম আকবর খোন্দকারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।