নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতীয় পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নগরীর খাতুনগঞ্জের আড়তে এখন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু দেশি পেঁয়াজের দামও চড়া। দুই সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল কেজি প্রতি ৫৮-৬০ টাকা। এখন ৮০-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০ টাকা দাম বেড়েছে।
খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা জানিয়েছেন, দেশের উত্তরাঞ্চল যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর থেকে দেশি পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত দুইশত টন দেশি পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে। বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ থাকলেও দেশি পেঁয়াজের বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার রাসেল অ্যান্ড সন্সের স্বত্ত্বাাধিকারী মো. রাসেল বলেন, মার্কেটে এখন ভারতীয় পেঁয়াজ আর নেই। যা মজুদ ছিল সব বিক্রি হয়ে গেছে। এখন দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে পেঁয়াজ আসছে খাতুনগঞ্জে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রিও হচ্ছে ভালো।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের স্বাদ বেশি বলে বাজারে এখন এর চাহিদা বেশি। ক্রেতারা মিয়ানমারের পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজ কিনছেন বেশি।
বাজারে দেশি ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম এখন সমান। পাইকারিতে ৮০-৮২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৯০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়ত হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস মিয়া বলেন, আড়তে এখন ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। মিয়ানমারের পেঁয়াজ থাকলেও পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে দেশি পেঁয়াজ আসছে। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজের চাহিদাও বেশি।
চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটের বিক্রেতা নুর নবী বলেন, ক্রেতারা মিয়ানমারের পেঁয়াজের প্রতি আকৃষ্ট নয়। দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ বেশি হওয়াতে বেশিরভাগ ক্রেতা এই পেঁয়াজ কিনছেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।
ফারুক আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের ঝাঁজ নেই, স্বাদও নেই। কিন্তু দেশি পেঁয়াজের যেমন ঝাঁজ, তেমন স্বাদও। তাই দেশি পেঁয়াজ কিনি।
দক্ষিণ ভারতে বন্যায় পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সংকটের কারণে ভারত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। পরদিন থেকে বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। দাম চড়ে যায় ৭০ টাকায়। খুচরা বাজারে ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এ মুহূর্তের সংবাদ