‘দেশি দশে’ কেনাকাটার হিড়িক

অনিন্দিতা সরকার প্রথা »

এবারের রমজান মাসে চট্টগ্রাম নগরের ঈদ বাজারে সমাগম কম থাকলেও ‘দেশি দশে’র চিত্র ভিন্ন। সেখানে গিয়ে দেখা গেল ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের ভীড় জমেছে।
আফমি প্লাজার পাঁচ তলায় ‘দেশি দশে’র প্রায় প্রতিটি দোকানেই পড়েছে কেনাকাটার হিড়িক। ‘দেশালে’র শোরুমে ঈদ উপলক্ষে উঠেছে রঙ বেরঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি পিস ও বাচ্চাদের পোশাক। সেখানে শাড়ির মূল্য শুরু হয়েছে ১৫০০ টাকা থেকে। ঈদ কালেকশানে জামদানি শাড়ি আছে ২৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। থ্রি পিসের মূল্য সর্বনিম্ন ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। বাচ্চাদের ফতুয়া ও পাঞ্জাবির দাম ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। হাতের কাজ করা বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। মেয়ে বাচ্চাদের জামাকাপড়ের মূল্য ৫৪০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
নগরদোলাতে শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। পাঞ্জাবির মূল্য ১২০০ হতে ৩ হাজার টাকা এবং থ্রি পিসের মূল্য ২২০০ হতে ৫ হাজার টাকা।
‘সৃষ্টি’তে ঢুকে দেখা গেলো, তাদের ঈদ কালেকশানে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের নানারকম পোশাক। সেখানে শাড়ির দাম ২০০০ টাকা থেকে ২৮৫০ টাকা। আনস্টিচ থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৩৯০ টাকা থেকে ২০৫০ টাকায়। মেয়েদের টু পিসের দাম সর্বনিম্ন ২৪০০ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা। পুরুষদের বাহারি ডিজাইনের হাফ হাতা শার্ট গতানুগতিক ৮৫০ টাকা মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। তবে দোকান কর্তৃপক্ষ জানালেন, ‘ব্যবসা খুব খারাপ হচ্ছে না। কিন্তু গতবছরের তুলনায় কম।’
‘নিপুণ’-এর শোরুমে শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ হাজার টাকায়। থ্রি পিসের মূল্য ২৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। পাঞ্জাবির মূল্য সর্বনিম্ন ১৭৫০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা। বাচ্চাদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০ টাকা থেকে ১৯০০ টাকায়। সেখানে ক্রেতারা সব থেকে বেশি নিচ্ছেন বাচ্চাদের পোশাক।
‘সাদাকালো’ এবারের ঈদ কালেকশনে রেখেছে ফ্লোরাল থিম। শাড়ির মূল্য শুরু হয়েছে ১৬৫০ টাকা থেকে, শেষ হয়েছে ২০ হাজার টাকাতে। পাঞ্জাবির মূল্য সর্বনিম্ন ১৩৫০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪৫০০ টাকা। থ্রিপিস পাওয়া যাচ্ছে ২৬৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়। সিঙ্গেল পিসের মূল্য ১৬৫০ টাকা থেকে ২২৮০ টাকা। বাচ্চাদের থ্রি পিস ও টুপিস বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকা থেকে ২৬৫০ টাকায়।
‘বাংলার মেলা-তে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ১৬৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। ওয়ান পিসের মূল্য ১৩৫০ টাকা থেকে ২২৫০ টাকা।
‘অঞ্জনস’- এ নানা রঙ ও ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় এবং পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়। থ্রি পিসের মূল্য ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও আছে বিভিন্ন কম্বো, যেগুলোর মূল্য ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়।
‘কে ক্রাফট’-এর শাড়ির মূল্য ১২৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা। থ্রি পিসের মূল্য সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা। বাচ্চাদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। পাঞ্জাবির মূল্য ১৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা।
‘রঙ’-এর ঈদ কালেকশনে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন থিমের ওয়ান পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি ও থ্রি পিস। বিভিন্ন ফ্যামিলি কম্ব বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২২ হাজার ৯৬৫ টাকায়। কাপল কম্বো বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায়।