মতবিনিময় সভায় চসিক প্রশাসক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সরকারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে। কোভিড-১৯ প্রথম ঢেউয়ের ন্যায় দ্বিতীয় ঢেউয়েও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সেবা দিয়ে আসছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অসহায় হত দরিদ্রদের কম্বল, শীতবস্ত্র, মাস্ক প্রদানের জন্য সমাজের বিত্তবানদের বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিট ও যুব রেডক্রিসেন্ট এর রিলিফ ফান্ডে দেয়ার সাহায্য করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রাস্তায় ফুটপাতে গভীর রাতে যাদের কম্বল, শীতবস্ত্র দেয়া হয় তাদের অনেকেই মাদকসেবী। তারা ফুটপাতে রাতযাপন করে সকালে রাস্তায় বা ফুটপাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে এবং রাত্রে পাওয়া শীতবস্ত্র বা কম্বল মাদকের জন্য বিক্রি করে দেয়। অথচ প্রকৃত হত দরিদ্ররা এই সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়। ‘মানবতাই মূল’ এই বিষয়কে সামনে রেখে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রশাসক।
গতকাল দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক প্রশাসকের দপ্তরে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জব্বার, কার্যকরী সদস্য মহসিন উদ্দীন চৌধুরী ফয়সল, এইচ এম সালাহউদ্দিন, সাফকাত জাহান, ইউনিট অফিসার এয়াহিয়া বখতিয়ার, যুব রেডক্রিসেন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কৃষ্ণ দাশ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসক অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য ৩৯ নম্বর ও ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে জরিপ করে জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম ও আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী প্রদান, যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর কাজ করতে গিয়ে কোন স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হলে তাঁকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে চাহিদা পত্র প্রেরণের জন্য বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি