সুপ্রভাত ডেস্ক »
আগামী দুই বছরের মধ্যে দিল্লি থেকে সব অবৈধ বাংলাদেশিকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে, রাজধানী নয়াদিল্লীকে রোহিঙ্গা মুক্ত করার ঘোষণাও দেন তিনি। দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে এক জনসভায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১০দিন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ৭০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। ভোট সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি এবং প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সরকারের নেতৃত্বে থাকা বিজেপি। চলছে পাল্টাপাল্টি সাফল্য-ব্যর্থতার পাল্লা ভারী কার, ভোটারদের কাছে সেটি প্রতিষ্ঠা করার প্রতিযোগিতা।
রোববার দিল্লির নারেলায় জনসমাবেশ করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১০ বছর ধরে দিল্লির ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, রাজধানীতে জেলা প্রশাসনের সাহায্যে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আসছে সপ্তাহের ভোটে দিল্লির বিধানসভায় আধিপত্য পেলে দ্রুততম সময়ে রাজধানীকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুক্ত করার ঘোষণা দেন অমিত শাহ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘ভাইবোনেরা, আপনাদের আমি ওয়াদা করে যাচ্ছি, আপনারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে জিতিয়ে দিন, দুই বছরের মধ্যে আমরা দিল্লিকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুক্ত করার কাজ সম্পন্ন করবো।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের সবশেষ তথ্য, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীর বাস। বৈধ অনুমতিপত্র বিহীন বাংলাদেশিদের প্রতি ভারতের বাক্যবাণ অবশ্য নতুন নয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোট পাওয়ার জাতীয় কৌশল হিসেবে আশির দশক থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর কথা বলে আসছে বেশ কিছু দল
যার পরিপ্রেক্ষিতে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি শনাক্তে এবং ফেরত পাঠাতে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ নামে অভিযান পরিচালনাও করে প্রশাসন।


















































