সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে অভিযান শুরু করলেও পরবর্তী দু’টি ম্যাচে হেরে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল চেন্নাই সুপার কিংস। রাজস্থানের বিরুদ্ধে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার পর শুক্রবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪৪ রানে হার। ১৭৬ রান তাড়া করতে গিয়ে ২০ ওভারে মাত্র ১৩১ রান তুলতে সমর্থ হল ইয়েলো ব্রিগেড। টানা দ্বিতীয় হারে স্বাভাবিকভাবেই ধোনির দল নিয়ে উঠে গেল হাজারো প্রশ্ন।
এমনিতেই সুরেশ রায়না, হরভজন সিং’য়ের সার্ভিস চলতি টুর্নামেন্টে পাবে না তারা। তার উপর চোট পেয়ে সাময়িক মাঠের বাইরে থাকা আম্বাতি রায়াডু এবং ডোয়েন ব্র্যাভোর অভাব অনুভূত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এমতাবস্থায় দিল্লির বিরুদ্ধে হারের কারণ হিসেবে দলের ব্যাটিংকেই কাঠগড়ায় তুললেন মাহি। টানা দ্বিতীয় হারের পর ধোনি সাফ জানালেন তাদের ব্যাটিং অর্ডারে শক্তির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাহির কথায়, ‘আমাদের জন্য এটা খারাপ একটা ম্যাচ ছিল। পরের দিকে উইকেট কিছুটা মন্থর হয়ে গিয়েছিল, তবে শিশির ফ্যাক্টর ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাটিং অর্ডারে শক্তির অভাব প্রকট হচ্ছে। আমাদের সমস্যা খুঁজে বার করতে হবে।’
রাজস্থান রয়্যালসের পর দিল্লি ম্যাচেও রান তাড়া করতে নেমে মন্থর শুরু করেন দুই ওপেনার মুরলি বিজয় এবং শেন ওয়াটসন। পরের দিকে ফ্যাফ ডু’প্লেসি বিপক্ষ বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করলেও প্রথম ১০ ওভারে মন্থর ব্যাটিং স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়িয়ে তুলেছে পরের দিকে। এব্যাপারে ধোনি বলেন, ‘মন্থর শুরুর কারণে পরের দিকে আমাদের উপর রানের পাহাড় তৈরি হতে থাকছে, যা বাড়তি চাপ যোগ করছে। আমাদের সব ভুল-ত্রুটি শুধরে ফিরে আসতে হবে। একইসঙ্গে কম্বিনেশনের দিকেও নজর দিতে হবে।’
তবে পরবর্তী ম্যাচে চোট সারিয়ে আম্বাতি রায়াডুর দলে ফেরার বিষয়টি এদিন নিশ্চিত করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক। যা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাদের ব্যাটিংকে চাপের প্রেসার কুকার থেকে বের করে আনতে পারবে বলেই মত ধোনির। মাহির কথায়, ‘রায়াডু ফেরায় আগামী ম্যাচ থেকে দলের ভারসাম্যও অনেকটাই ফিরবে। যার ফলে আমরা এক্সট্রা বোলার খেলানোর পরীক্ষাতেও হাঁটতে পারি। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
উল্লেখ্য, দুবাইয়ে এদিন প্রথমে ব্যাট করে পৃথ্বী শ’র ৬৪, ধাওয়ানের ৩৫, অধিনায়ক শ্রেয়সের ৩৭ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে দিল্লি। জবাবে চূড়ান্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০ ওভারে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি চেন্নাই। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৩ রান আসে ডু’প্লেসির ব্যাট থেকে। শেষদিকে নেমে ১২ বলে ১৫ রান করে আউট হন মাহি। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা