সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে বারবার আলোচনায় থাকা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলিপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি’র সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দলত্যাগের দুই দিনের মাথায় পদ হারালেন তিনি।
৫৭ বছর বয়সী দিলিপ ঘোষকে সর্বভারতীয় বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তার দায়িত্ব পেয়েছেন নর্থ বেঙ্গলের বালুরঘাটের এমপি ৪১ বছর বয়সী সুকান্ত মজুমদার।
আসানসোলের বিজেপি এমপি বাবুল সুপ্রিয় দল বদলের দুই দিনের মাথায় দলে রদবদল আনলো বিজেপি। এই বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে দুইশ’ আসনে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দলটি। তবে জয় পায় মাত্র ৭৭টিতে। এর মধ্যে চার এমএলএ তৃণমূলে ফিরে গেছেন।
রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপের মেয়াদ ফুরনোর কথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। তাঁর জায়গায় ওই পদে কাকে আনা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যেও আলোচনা চলছিল। তবে ওই সময়সীমার এতটা আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে তার আঁচ ঘুণাক্ষরেও পায়নি রাজ্য বিজেপি। তবে সুকান্ত বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হিসাবে মনোনীত হলেন প্রাথমিক ভাবে। এর পর তাঁকে নির্বাচিত হতে হবে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায়। এই একই পর্যায় অনুসরণ করা হয়েছিল দিলীপের ক্ষেত্রেও। বিজেপি-র নিয়ম অনুসারে কেউ দু’বারের বেশি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি পদে থাকতে পারেন না। এ বার ছিল দিলীপের দ্বিতীয় দফা।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সুকান্ত মজুমদার বোটানির শিক্ষক। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মাধ্যমেই নেতৃত্বে উঠে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘দিলিপ ঘোষ বিজেপিকে আজকের অবস্থানে এনেছেন। পশ্চিমবঙ্গের শক্তিশালী বিরোধী দল এখন বিজেপি। এই উত্থানে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই জায়গা থেকে পার্টিকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে চাই আমি।’
সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দিলিপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘জেপি নাড্ডা (বিজেপি সভাপতি) বিকেলে ফোন করেছিলেন আর বলেছেন আমাকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি এটা আমার কাজ এবং অবদানের স্বীকৃতি। আমিও বলেছি, সমাজ এবং পার্টির নতুন চাহিদা মেটাতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রয়োজন।’
তবে গত শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাবেক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় গত নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের জন্য দিলিপ ঘোষকে দায়ী করেন। নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের জন্য তিনি দিলিপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যকে দায়ী করেন।