নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সালাউদ্দীন ও হাসান মুরাদ বিপ্লবের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছিল দিনভর উত্তেজনা। থেমে থেমে সেøাগান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিলার্জে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল ভোটকেন্দ্র। এ সময় ভোট দিতে আসা অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই ভোট না দিয়েই ফিরে যান।
বেলা ১২টার দিকে কাউন্সিলর প্রার্থী বিপ্লবের সমর্থকদের ধাওয়া দেয় পুলিশ ও বিজিবি। এ সময় সমর্থকেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকে। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দীন। তিনি চলে যাওয়ার পর রাস্তা থেকে সেøাগান দিতে দিতে বিপ্লবের সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রের গেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে আবারো সেøাগান দিতে থাকেন। সমর্থকদের কয়েকজন দেয়াল টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন এবং বাইরে গেটে ধাক্কাধাক্কি করেন। এ সময় ভোটকেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে সাংবাদিকেরা উপরে উঠতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। কিছুক্ষণ পর আবার উঠতে দেন। এরপর বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে ভোটকেন্দ্রে আবারও আসেন ওসি নেজাম উদ্দীন। ১২টা ৫০মিনিটে তাকে ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় কাউন্সিলর প্রার্থী বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে বিপ্লবের সমর্থকেরা অবস্থান নেন এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন অভিযোগ করে ভোট বন্ধ করতে বলেন। দুপুর ১টায় আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তী।
এর আগে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে আবারো উত্তেজনা দেখা দেয় একজন ব্যক্তির ভিতরে প্রবেশ নিয়ে। এ সময় ওই ব্যক্তিকে সালাউদ্দীনের সমর্থক বলে দাবি করেন বিপ্লবের সমর্থকেরা। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে না দিয়ে সরিয়ে নেন।
দুুপুর দেড়টার দিকে আবারো উত্তেজনা দেখা দেয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে। এ সময় সালাউদ্দীনের একজন সমর্থককে এক পুলিশ সদস্য বাইরে নিয়ে আসলে তাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে এবং তার পিছু নেন বিপ্লবের সমর্থকেরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়।
সব মিলিয়ে জেএমসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সালাউদ্দীন ও বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লবের সমর্থকদের মধ্যে ছিল দিনভর উত্তেজনা।
এ মুহূর্তের সংবাদ