সুপ্রভাত ডেস্ক »
আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস-উর রহমান বলেছেন, ‘তাদের বোঝান-তোমরা যা চাও সেটা সুন্দর করে বুঝিয়ে মিনিস্ট্রিতে লিখে জায়গামতো দিয়ে আসো, সমাধান হয়ে যাবে।’
বুধবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ে সচিব বলেন, ‘তারা (আন্দোলনরত প্রকৌশলী) যদি তাদের দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে দেন, এগুলো নিয়ে তারা অনেক রিসার্চ করেছেন, তাদের কাছে আইন-কানুন আছে, এগুলো যদি অ্যাটাচ করে দেন, আমরা অল্প সময়ে এটা সমাধান করে দিতে পারব। আমাদের কাছে কোনো আবেদন আসেনি, আমরা বিষয়টি শুনেছি। এখন আপনারা আমার কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করছেন।’
দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার সঙ্গে পিএসসি (সরকারি কর্ম কমিশন) জড়িত, জনপ্রশাসন জড়িত, মন্ত্রিপরিষদ জড়িত, লেজিসলেটিভ বিভাগ জড়িত, আর যেসব প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে মন্ত্রণালয়ে চাকরি করছেন ওইসব মন্ত্রণালয় জড়িত। সবার সঙ্গে বসে, এটাকে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা, এর অফিসিয়াল একটা নাম আছে সচিব কমিটি, সেখানে এটা তুললেই সমাধান হবে, একটি বা দুটি মিটিং লাগবে। এটা সম্ভব, এটা এমন কোন জটিল বিষয় নয়।
মোখলেস-উর রহমান বলেন, ‘যারা ভুক্তভোগী তারা তাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রস্তাবটা আনবে। আমরা এটা পজিটিভলি দেখব, আমরা এটা ফেলে রাখবো না।’
‘রাস্তাঘাট বন্ধ করার কোনো দরকার নেই, ইট ইজ নট ওয়াইজ। এই সরকারের আমলে আমরা কত রাস্তাঘাট বন্ধ করেছি- সেদিন একটা হিসাব দেখেননি? এরমধ্যে আমরা সরকারি লোকেরাই বেশি করেছি। (রাস্তাঘাট বন্ধ) জনসাধারণ কম করেছে।’
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বা সচিব কমিটির সভা কবে করবেন- জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যখন কাগজ আসবে আমরা প্লেস করব, আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং তো আমরা যখন দরকার হয়, তখনই করি। এটার প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সব সচিবরা এটার সদস্য। এখানে নেগেটিভ কিছুই নেই। শুধু এটা না বুঝে যারা করতেছে, আপনাদের যদি সুযোগ হয় তাদের বোঝান- তোমরা যা চাও সেটা সুন্দর করে বুঝিয়ে মিনিস্ট্রিতে লিখে জায়গামতো দিয়ে আসো, সমাধান হয়ে যাবে।’
তারা শাহবাগে বসে আছে এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভোগান্তি তো আমরা অফিসাররাও কম করিনি। কার কথা বলবেন!’