সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
এ যেন করোনার বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধজয়ের আনন্দ। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালির মত তাবড় তাবড় দেশে যখন জারি হয়েছে চরম স্বাস্থ্য সংকট। তখন বাকি বিশ্বের কাছে উদাহরণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। ৯৫ মিলিয়ন বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মাত্র তিনশোর সামান্য বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন। মৃত্যু নেই। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এহেন চমকপ্রদ পরিসংখ্যান নিয়ে গোটা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভিয়েতনাম।
কিন্তু সেই সাফল্য উদযাপন করতে গিয়ে ফের বিপদকে ডেকে আনছে না তো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি? একটি ঘটনায় মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই প্রশ্ন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংইয়ের বালাই নেই, সংক্রমণের হুমকি ভুলে গ্যালারিতে হাজার-হাজার মানুষের উপস্থিতিকে সঙ্গী করে ফুটবল ফিরল ভিয়েতনামে। শুক্রবার করোনা পরবর্তী সময় দেশের টপ ফুটবল লিগ পুনরায় শুরু হল সেদেশে। রেকর্ড পরিমাণে কোভিড টেস্ট করে কিংবা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তুলে করোনার বিরুদ্ধে সাফল্যের এই মেজাজ আগামিদিনে হঠকারিতার জন্য বিষাদের রূপ নেবে না তো ভিয়েতনামে? এখন সেটাই প্রশ্ন।
ভি-লিগের গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যে মাস্ক পরিধান নিয়েও কোনওরকম বাধ্যবাধকতা চোখে পড়েনি। স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্রিনিং এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনওরকম ভীতি চোখে পড়েনি। করোনা পরবর্তী সময় ভিয়েতনামের আগে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির মতো দেশগুলিতে শুরু হয়েছে প্রিমিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ। কিন্তু কোনও লিগেই দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ করোনার পর ভিয়েতনামের নাম দিন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে শুক্রবার কাঁধে কাঁধ ঠেকিয়ে ম্যাচ দেখলেন দর্শকেরা।
করোনা ভীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এক দর্শকের কথায়, ‘ভাইরাসের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে এখানে আসতাম না’। আবার কেউ বলছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপই আজ আমাদের ফুটবল মাঠে ফেরাতে সাহায্য করছে’।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ইউরোপে শুরু হতে চলেছে তিন-তিনটি মেজর সকার লিগ। ১১ জুন লা-লিগার পর ১৭ এবং ২০ জুন করোনার পর ফুটবল চালু হবে ইংল্যান্ড ও ইতালিতে। তবে এইসব দেশগুলিতে ফুটবল ফিরছে খালি গ্যালারিতে।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা