নিজস্ব প্রতিবেদক »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের কাছে এসেছি একটা উপহার নিয়ে। দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে। সেটা হলো- এই টানেল। এই টানেল নির্মাণ প্রকল্পে যারা যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই টানেল হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হয়েছে। কক্সবাজারে যেতে এখন সময় অনেক কমে যাবে। আপনারা গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ায় এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় আনোয়ারা উপজেলার কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রামে পানি শোধনাগার, সুয়ারেজ প্রকল্প, ফ্লাইওভার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল, এলএনজি টার্মিনালসহ এতো কিছু করছি, যা বলে শেষ করা যাবে না। কারণ চট্টগ্রাম হলো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। আমরা সেই হিসেবে চট্টগ্রামকে তৈরি করছি। এছাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার থাকা অবস্থায় যারা ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি হারিয়েছিলো, তাদের বাড়ি করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে আমরা ভ্যাকসিন কিনে আপনাদের বিনামূল্যে দিয়েছি। আমরা চাই আপনারা সুরক্ষিত থাকুন। শিশুদের পড়াশোনা যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য বছরের শুরুতে সবার হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি। যারা বিদেশে যেতে চান, দয়া করে দালালকে টাকা দিয়ে বিদেশে যাবেন না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোনো জামানত ছাড়া ঋণ দিবে। যখনই নৌকা ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’
নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে মানুষ একবেলা নুনভাত খেতে পারত না। আজকে আমরা দারিদ্র্য মোকাবেলা করেছি। আজকে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য গৃহের ব্যবস্থা করেছি। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা এতিমকে না দিয়ে নিজে রেখে দিয়েছে। তার ছেলে তারেক রহমান বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ আরও অনেক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। সে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। বিএনপি লুটপাট ও সন্ত্রাসে বিশ্বাসী। তারা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। আর আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাসী, উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। আমরা এই দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি। তাই আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন, যেন এই ধারা অব্যাহত থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমিতো সব হারিয়েছি। আমি ও আমার বোন বাইরে থাকায় বেঁচে গেছি। এসে দেখি এখানে চারপাশে সব খুনি। এরপর সরকার গঠন করে চেষ্টা করছি আমার বাবার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) স্বপ্ন যেন পূরণ করতে পারি। আমি চাই, এই দেশে আর কোনো ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। কেউ না খেয়ে থাকবে না। আমরা আপনাদেরকে চাল-ডাল-তেল দিচ্ছি। দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের জন্যও আমরা ব্যবস্থা করেছি।’