সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
টাইগারদের বড় সময় ধরে পথ দেখিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ’র ৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটিতে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ও প্রায় ধরা দিচ্ছিল। কিন্তু না, একেবারে তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশের। প্রোটিয়াদের কাছে হেরে গেছে ৪ রানে।
কেশভ মহারাজের করা শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারল না বাংলাদেশ। তিনটি ফুলটস দেওয়া বাঁহাতি স্পিনারের বলে ২ উইকেট হারিয়ে করতে পারল কেবল ৬ রান।
প্রথম ২ বলে আসে চার রান। তৃতীয় বলে বেরিয়ে এসে ছক্কার চেষ্টা করেছিলেন জাকের আলি। পারেন দলে ফেরা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। লংঅনে সহজ ক্যাচ নেন এইডেন মারক্রাম।
পরের বলে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইম্প্যক্ট বাইরে ছিল বলে বেঁচে যান রিশাদ হোসেন।
ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। মহারাজের নিচু ফুলটসে ছক্কার চেষ্টায় লংঅনে মারক্রামের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ওভারের শেষ বলে সুযোগ ছিল তাসকিন আহমেদের সামনে। কিন্তু ফুলটস বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেশি দূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। পুরো ২০ ওভার খেলেও ৬ উইকেটে মাত্র ১১৩ রান করতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে কম রানের ঘটনা এটি।
একই মাঠে আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৭৭ ও ১০৩ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্য দেখালো বাংলাদেশ। নিউ ইয়র্কের দুর্বোধ্য পিচে এবার ব্যাটারদের পরীক্ষা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে ১১৩ রানে আটকে দিয়েছে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় পেতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১১৪ রান।
নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৩ রানে চার উইকেটের তিনটিই তার শিকার। এরপর আইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ৭৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। সেট হওয়া দুই ব্যাটারকে ডেথ ওভারে ফেরায় বাংলাদেশ। তারপর শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের আঁটসাঁট বোলিংয়ে চার রানের বেশি হয়নি। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ক্লাসেন। ২৯ রান করেন মিলার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম উইকেটে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ জুটি। এছাড়া কেবল কুইন্টন ডি কক (১৮) দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
তানজিম চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। মোস্তাফিজও সমান রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য। তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট দেন ১৯ রান দিয়ে। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় রিশাদ হোসেন ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৩২ রান দেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ তিন ওভার করে দিয়েছেন ১৭ রান।
মাত্র ১ ওভার বোলিং করেন সাকিব আল হাসান। প্রায় ১৭ বছর ও ১২৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ কোনো ম্যাচে এত কম বোলিং করলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১১৩/৬ (ডি কক ১৮, হেনড্রিকস ০, মারক্রাম ৪, স্টাবস ০, ক্লসেন ৪৬, মিলার ২৯, ইয়ানসেন ৫*, মহারাজ ৪*; তানজিম ৪-০-১৮-৩, তাসকিন ৪-০-১৯-২, মুস্তাফিজুর ৪-০-১৮-০, রিশাদ ৪-০-৩২-১, সাকিব ১-০-৬-০, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-১৭-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১০৯/৭ (তানজিদ ৯, শান্ত ১৪, লিটন ৯, সাকিব ৩, হৃদয় ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ২০, জাকের ৮, রিশাদ ০*, তাসকিন ১*; ইয়ানসেন ৪-০-১৭-০, রাবাদা ৪-০-১৯-২, বার্টমান ৪-০-২৭-০, মহারাজ ৪-০-২৭-৩, নরকিয়া ৪-০-১৭-২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ রানে জয়ী