নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৪ আগস্ট চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ১২ সিটি করপোরেশনে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান শুরু হয়। এ পর্যন্ত মহানগরে প্রায় আড়াই লাখের বেশি শিশু ফাইজার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। এবার চট্টগ্রাম উপজেলা এবং তিন পার্বত্য জেলার শিশুদের টিকা প্রদানের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে তিন পার্বত্য জেলা ও চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।
টিকা নিয়ে কোন শিশুর মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সেভাবে কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে কোন কোন শিশুর হালকা জ্বর, কাঁধে ব্যথা দেখা দিয়েছে। বিশ্রামের পর সে উপসর্গ সেরেছে।
নগরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার ৫৬ দিন পর শিশুদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১০ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তারমধ্যে ৫ লাখ ৮ হাজার ৮৩৪ জন ছেলে, ৫ লাখ ৩৬ জন ৪৯০ জন মেয়ে শিশু রয়েছে।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা এবং ডা. মোহাম্মদ সাবের জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে আমাদের এ বিষয়ে মিটিং হয়েছে। সেখানে বলা হয় আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৫ থেকে ১১ বয়সী জেলা এবং উপজেলায় শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। আমরা এখনও প্রস্তুতি শুরু করিনি। তাই ঠিক কতজন শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে তা এখনো বলতে পারছি না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পক্ষ থেকে ফরম্যাল লেটার পাওয়ার পর আমরা প্রস্তুতি শুরু করবো।
তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরাও যেন টিকার আওতায় আসে সে দিকটা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখভাল করা হবে বলে জানান।